পাতলা পায়খানা: খাওয়ার স্যালাইন, ডায়াবেটিকদের জন্য রাইচ স্যালাইন, অন্যদের ওর স্যালাইন খেতে হবে; দিনে কমপক্ষে একটা, সঙ্গে ডাবের পানি। জ্বর থাকলে ও বারে ১০ বা বেশি পায়খানা হলে এন্টিবায়োটিক (এজিথ্রমাইসিন) খাওয়া ভাল। ব্যথা, বমির ওষুধ, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দরকার নাই।
পায়খানার সঙ্গে মিশে রক্ত গেলে অসমাপ্ত, অতৃপ্তির মোশন হলে এন্টিবায়োটিক, বারে কম হলে মেট্রনিডাজল। খাদ্যদ্রব্য, পানীয় থেকেই এগুলো হয়। খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে, অন্য সবকিছু খাওয়া যাবে।
কালো পায়খানা: খারাপ জিনিস; কালো মানে আলকাতরার মতো কালো। পানি ঢেলে দিলে লাল হবে। খাদ্যনালির উপরের দিকে রক্তক্ষরণ হলে এটা হয়।
লাল রক্ত মেশান পায়খানা : মানে dysentery; Fissure: রক্ত যদি পায়খানার গায়ে লেগে থাকে, পায়খানার সময় ব্যথা করে তবে fissure অর্থাৎ ফেটে গেছে। পাইলস: রক্ত পায়খানা শেষ করলে ফোঁটাফোঁটা রক্ত পড়ে, ব্যথা নাই তাহলে পাইলস। বিশেষ লাইট দিয়ে পায়খানার নালী দেখলে (প্রোক্টসকোপী করলে) এটা নিশ্চিত হওয়া যায়।
মিউকাস/ক্রনিক আমাশয়: এটা টেনশনের ডায়রিয়া/আইবিএস। দুধ ও সালাদ বাদ দিতে হবে। কিছু কিছু ঔষধে সাময়িক কাজ হয়।
লেখক: অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা