চীনের ইউটু-২ রোভারের নজরে এসেছে চন্দ্রপৃষ্ঠে হঠাৎই এক ‘রহস্যময় চতুষ্কোণ’। মনে করা হচ্ছিল এটি ভিনগ্রহবাসীদের কুড়েঘর। যা নিয়ে শুরু হয় শোরগোল। ইতোমধ্যেই সমাধান হয়েছে সেই রহস্যের। কোনো ভিনগ্রহবাসীর কুঁড়েঘর নয়, ইউটু-২’র তোলা ঘোলাটে ছবির চতুষ্কোণ বস্তুটি আদতে একটি পাথর।
রোভারের ক্যামেরায় তোলা ঘোলাটে ছবি বিশ্লেষণ করে অনেকেই বস্তুটিকে আখ্যা দিচ্ছিলেন ‘রহস্যময় কুঁড়েঘর’ বলে। অতি আগ্রহীদের কেউ কেউ বস্তুটির সঙ্গে খুঁজে নিয়েছিলেন ভিনগ্রহবাসীদের যোগসাজশ। ইউটু-২ রোভারের তোলা প্রথম ছবিতে পাথরটি দেখতে চতুষ্কোণ কোনো বস্তু মনে হলেও আদতে সেটি মৃত আগ্নেয়গিরির মুখে পড়ে থাকা পাথরের টুকরা বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট। পাথরটির আকৃতির কারণে এখন একে ডাকা হচ্ছে ‘জেড র্যাবিট (খরগোশ)’ নামে।
‘চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএনএসএ)’-এর চ্যাং’ই-৪ মিশনের অংশ হিসাবে ২০১৯ সালে চাঁদে পৌঁছায় ইউটু-২। সৌরশক্তিতে চলে রোভারটি। নির্দিষ্ট সময় পরপর ‘ঘুমিয়ে পড়ে’ ইউটু-২। সূর্য থেকে আসা আলোর ছোঁয়া পেলেই আবার জেগে ওঠে কাজে নামে সে। সৌরশক্তির ওপর নির্ভরতার কারণেই ‘কুঁড়েঘর’ রহস্য সমাধানে রোভারটির এত সময় লেগেছে।