হামজা শরীফকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সুপ্রিম কোর্ট সরিয়ে দেয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার সতর্ক করেছে। তারা বলেছে, পাঞ্জাবে গভর্নরের শাসন চালু হতে পারে। মঙ্গলবার রাতে হামজা শরীফকে প্রত্যাহার করে বিরোধী দলের প্রার্থী পারভেজ এলাহিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বৈধতা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এ রাতেই তাকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ পাঞ্জাবে অবনতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সতর্কতা উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে পাকিস্তানি রুপির বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরও জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ দেশে ফিরে এলেই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেবেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাঞ্জাবে গভর্নরের শাসন জারি করার খসড়া করা হচ্ছে। তার ভাষায়, আমি ব্যক্তিগতভাবে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, যদি পাঞ্জাবে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল এই প্রদেশে গভর্নরের শাসন জারি করা হতে পারে। কারণ, পিটিআই নেতারা পাঞ্জাবে তার প্রবেশে বাধা দেয়ার কথা বলেছেন।
কিন্তু পাকিস্তানে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে। স্থানীয় মুদ্রার মানের পতন ঘটছে দ্রুত। মুদ্রাস্ফীতি ঐতিহাসিক উচ্চ পর্যায়ে চলে গেছে। এখন হলো সতর্ক হওয়ার সময়। এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধী পিটিআইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। পাঞ্জাব পরিস্থিতি বা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উত্তেজনার জন্য বাজারে প্রভাব পড়েছে।
শীর্ষ আদালতের সর্বশেষ সিদ্ধান্তে এই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই বিশ্লেষকরা রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন একপক্ষ অন্য পক্ষকে উস্কানি না দেয়ার জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, চলমান পরিস্থিতি সারা দেশের মানুষের কাছে একটি উদ্বেগের কারণ। রুপির বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। যখন এমন পরিস্থিতি সামনে আসে, তখন এমনটাই হয়। তিনি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন।