আঙুলের চোট কাটিয়ে নেটে ব্যাটিং করছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ব্যথা ও ফোলা কমছিল না। চোটের অবস্থা দেখার জন্য গতকাল এক্স-রে করান দেশ সেরা এই ওপেনার। সেই এক্স-রে বয়ে আনলো দুঃসংবাদ। তার আঙুলে ধরা পড়লো নতুন চিড়। যে কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে গোটা সিরিজেই অভিজ্ঞ ওপেনারকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এই সিরিজে অবশ্য ওয়ানডে নেই। তাই ওয়ানডের নেতৃত্বে বিকল্প হিসেবে কাউকে খুঁজতে হচ্ছে না আপাতত।
হাঁটুর চোট থেকে সেরে ওঠায় নেপালের এভারেস্ট প্রিমিয়ার লীগে অংশ নেন তামিম।সেখানে ব্যাটিংয়ের সময় বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে আঘাত পান তিনি। দেশে ফিরে এক্স-রে করিয়ে ধরা পড়ে চিড়। মাসখানেক মাঠের বাইরে থেকে সমপ্রতি তিনি শুরু করেন নেটে ব্যাটিং। শুরুতে টেনিস বলে হালকা ব্যাটিংয়ের পর নেটে পুরোদমে ব্যাটিংয়ে ফেরেন তামিম। কিন্তু পেস বোলিং খেলতে গেলেই অনুভব করছিলেন ব্যথা। সেই ব্যথার কারণ অনুসন্ধান করতে গতকাল আবার এক্স-রে করিয়ে ধরা পড়ে নতুন চিড়। ইনজুরি নিয়ে তামিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আগের ফ্র্যাকচারটা ছিল ভেতরের দিকে। ওটা প্রায় সেরে গেছে। কিন্তু আমার আঙুল ফোলা ছিল বাইরের দিকে। এবার এক্স-রে রিপোর্টো দেখা গেল, ওপরের দিকে ফ্র্যাকচার আছে। সম্ভবত একসঙ্গেই দুই জায়গায় ফ্র্যাকচার হয়েছিল, আগের এক্স-রেতে ওপরের দিকেরটা ধরা পড়েনি। এখন আবার আঙুলে স্প্লিন্ট লাগানো হয়েছে। আঙুল নড়া-চড়া বন্ধ। আবার পুরো প্রক্রিয়া শুরু।’ উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার চিন্তা করছেন তিনি। চিকিৎসকের অ্যাপয়নমেন্ট পেলে যেতে চান লন্ডন। এখন তার শঙ্কা, অস্ত্রোপচার লাগে কী না। এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘অপারেশন করাতে না হলে আশা করি নিউজিল্যান্ড সফরের আগে ঠিক হয়ে যাবে। আর অপারেশন করা হলে তো লম্বা সময়ের ব্যাপার, অপারেশনের পর বোঝা যাবে।’ বাংলাদেশের জার্সিতে তামিমকে সবশেষ দেখা গেছে গত জুলাই মাসে। জিম্বাবুয়ে সফরে ওয়ানডে সিরিজের পর থেকে মাঠের বাইরে ছিলেন হাঁটুর চোট নিয়ে। সেটি কাটিয়ে উঠে নেপাল যান ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে। সেখানে চার ইনিংস ব্যাটিংয়ের পরই আঙুলের চোট। আর নতুন এই ধাক্কায় ভীষণ হতাশ তামিম বলেন, ‘আমি মাঠে ফিরতে চাই। আর ভালো লাগছে না। ফিরতে চাই বলেই গত ক’দিন অনেক এফোর্ট দিলাম, অনেক চেষ্টা করলাম। কিন্তু হলো না। কী আর করতে পারি, দুর্ভাগ্যজনক। আমার যা করার ছিল, সবই করছিলাম।’ জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে একমাত্র টেস্টে তামিম খেলতে পারেননি হাঁটুর চোটে। টেস্ট ম্যাচ তিনি সবশেষ খেলেন গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে। দুই টেস্টে করেছিলেন ৯০, ৭৪*, ৯২ ও ২৪।