খাইবার পখতুনখাওয়া এবং পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রায় দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। তবে তারা বলেছে, এই দুটি পরিষদের নির্বাচন হতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে। সুয়োমোটো নোটিশের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ করার অনুরোধ করা হয়েছে। বুধবার রায় ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই)। তারা একে সংবিধানের বিজয় বলে অভিহিত করেছে। এর আগে সোম ও মঙ্গলবার টানা দু’দিন এই বিষয়ের ওপর শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারকের বেঞ্চে। রায়ে তিন-দুই ব্যবধানে সিদ্ধান্ত নেন বেঞ্চ। এতে আবেদনকারী স্বস্তি পান।
বিচারক জামাল মন্দোখাইল এবং বিচারক মানসুর আলি শাহ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কারণ ও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু একটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো, নির্বাচনের সময়সীমা। সংবিধানে নির্বাচন করার দুটি সময়সীমা উল্লেখ আছে। একটি হলো পরিষদের মেয়াদ শেষে তা বিলুপ্ত করার ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হয়। অথবা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পরিষদ ভেঙে দিলে সেক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হয়। এর আগে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি আগামী ৯ই এপ্রিল নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় সেই তারিখ টিকবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে বলা হয়েছে।