আজ সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এবার শিশুতোষ চলচ্চিত্র শাখায় বাদল রহমান পুরস্কার পেয়েছে ভারতীয় নির্মাতা বিপুল শর্মা নির্মিত ছবি ‘প্রবাস দ্য ট্যুর’, অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনার শ্যাম বেনেগাল নির্মিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’।
![চলচ্চিত্র](https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nahid/Untitled-24a.jpg)
নারী নির্মাতা শাখার সেরা ফিচার ফিল্ম ইরানের নির্মাতা মানিজেহ হেকমত নির্মিত ‘জাঙ্কস অ্যান্ড ডলস’। এই শাখায় সেরা তথ্যচিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ন্যান্সি স্যাভেন্ডসেন নির্মিত ‘প্যাসাঙ্গ ইন দ্য শ্যাডো অব এভারেস্ট’।
বাংলাদেশ প্যানারমায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র শাখায় ফিপরেসি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে পান্থ প্রসাদের ‘সাবিত্রী’, স্বল্পদৈর্ঘ্যে বৈশাখী সমাদ্দারের ‘লায়লা’। স্বল্পদৈর্ঘ্যে প্রথম রানার আপ হয়েছে সুভাশিষ সিনহার ছবি ‘ইনাফি’, দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে জিয়াউল হক রাজুর ছবি ‘অন্তহীন পথে’।
এশিয়ার চলচ্চিত্র শাখায় সেরা চিত্রনাট্য পুরস্কার পেয়েছে কাজাখিস্তানের মুহিউদ্দিন মুজাফফরের ‘ফরচুন’, সেরা সিনেমাটোগ্রাফির পুরস্কার পেয়েছে অ্যাঞ্জেলোস রালিসের ‘মাইটি আফরিন’।
অতিথিরা চলচ্চিত্রের নির্মাতা, প্রযোজক ও প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার গ্রহণ করে অঞ্জন দত্ত বলেন, ‘তিনি একজন সার্বক্ষণিক অভিনেতা। তাকে অভিনেতা হিসেবে পুরস্কৃত করায় সম্মানিত বোধ করেছেন।’
বাংলাদেশ প্যানারোমা শাখার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে মাজিদ মাজিদি জানান, এই উৎসবে থাকতে পেরে তাঁর চমৎকার অনুভূতি হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলচ্চিত্র বঞ্চিতদের কথা বলে। এই উৎসবে অনেক তরুণ নির্মাতা অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুবই আনন্দিত। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম কুড়াবে আশাকরি।’
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘আমি মনে করি, এই উৎসবে নানারকম সংস্কৃতির প্রগতিশীল উপস্থাপন হয়েছে। আমরা যে ধরনের সমাজ নির্মাণের স্বপ্ন দেখি, এই ধরনের উৎসব সে ধরনের সমাজ গঠনে সহায়ক।’
ব্যাপক দর্শক এবারের উৎসব উপভোগ করেছেন বলে জানান উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম। উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল জানান, ২০২৫ সালের ১১ থেকে ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসর।