আইলোরে নয়া দামান- তসিবার কণ্ঠে এ গানটি শোনেননি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। গত কয়েক বছরে বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় গান এটি। সিলেটি এ গানটি গেয়েছেন সিলেটেরই কন্যা তসিবা বেগম। গানটি দুই বছর আগে অফিসিয়ালি প্রকাশ হলেও অনেকেরই অজানা যে তসিবার খালি কণ্ঠেই গানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। পরবর্তীতে মুজা ফিচারিংয়ে তসিবার গানটি প্রকাশ পেলে আরও ছড়িয়ে পড়ে। এ গানের পর গত দু্ই বছরে আরও বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার গাওয়া ‘কাঁলাচান’ গানটিও ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। এ গানটি প্রতিটি সামাজিক মাধ্যমেই ভাইরাল। গানের ব্যস্ততা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তসিবাও স্থায়ী হয়েছেন সিলেট ছেড়ে ঢাকায়। এলএলবিতে অনার্স করছেন তিনি।
পাশাপাশি নিয়মিত নতুন গান ও স্টেজ শো করছেন দেশ-বিদেশে। পেশাগতভাবে দুই বছর ধরে গান করলেও তসিবা কিন্তু ছোটবেলা থেকেই গান করেন।
বাবা-মাও তাকে সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন গানে। সে সময়ের কথা বলতে গিয়ে তসিবা মানবজমিনকে বলেন, ছোটবেলা থেকে গান ছাড়া কিছু বুঝতাম না। প্রতিটি জায়গাতেই গান করতাম। নিজে প্রচুর গান শুনতাম। এমনো হয়েছে ক্লাস ফাইভে পড়াকালীন পরীক্ষার খাতায়ও আমি গান লিখে ফেলেছিলাম। এরকম অদ্ভুত সব কাণ্ড সে সময় থেকেই করতাম। এরপর একটু বড় হয়ে গান শিখি। পাশাপাশি ইউটিউবে আমি গান করতাম খালি গলায়। আমার একটি বানর ছিল, সেটাকে সঙ্গে নিয়েও গান করেছি ভিডিওগুলোতে। সিলেটি ভাষার গানগুলোর প্রচুর ভিউ হয়। এরপর ধীরে ধীরে পেশাগতভাবে গান করা শুরু করি। তসিবার সিলেটি ভাষার গানের বাইরেও বেশ কিছু গান শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে ফোক ও সিলেটি গানেই তসিবাকে নিয়ে বেশি ভাবছেন গীতিকার, সুরকার ও প্রযোজকরা। নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তসিবার ভাষ্য- আমি এলএলবি পড়ছি। একজন ব্যারিস্টার হতে চাই। পাশাপাশি গানটা চালিয়ে যাবো। এমন কিছু গান উপহার দিতে চাই যেগুলো দীর্ঘ সময় মানুষ মনে রাখবে।