নিশাত আনজুম
খুব করে পরিকল্পনা করলাম, পরশু সকালে যাবো শিউলি ফুল কুড়াতে। ঠিক আমার উল্টো পাশের বাসায়। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি রোজ। যাবো যাবো করে আর যাওয়া হয় না, ওই হলুদ রঙের বাসায়।
পরশু আরও পরিকল্পনা করলাম, পুরাতন স্কুলে যাবো। আজকাল নাকি পুকুর ভরাট করে নতুন ভবন হবে সেখানে। কী এক ক্যাঁচাল চলছে বহুদিন ধরে। আমি শুনেছি বেশ কিছুদিন হলো। ঠিক করলাম, পরশু দশটায় যাবো!
পরশু দুপুরে মাকে জানিয়ে রাখলাম, একটু ভালো-মন্দ রান্না করতে। জ্বর থেকে ওঠার পর কেন জানি ঝাল করে কিছু খেতে মন চাইছে। মা বললেন, ‘বেশ, পরশু তোর জন্য ঝাল করে চ্যাপা শুঁটকির ভর্তা করে দেবো।’
পরশু বিকেলে যাবো বইয়ের দোকানে। আর পরশু রাতে ভাবলাম, একটি মেইল করবো প্রিয় বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে।
পরশুদিন এলো। খুব সকাল হলো। মা বকাঝকা করে দরজায় কড়া নাড়লেন। ঠিক ভোরে আমার শিউলি ফুল কুড়ানো হলো না। দশটায় যাওয়া হলো না স্কুলে। ডাক্তার এসে নাড়ি পরীক্ষা করে জানালেন, আরও দু’ঘণ্টা আগেই আমি মৃত্যুবরণ করেছি।