গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশী হামলা ও গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামীকাল প্রতিবাদ – বিক্ষোভ ডেকেছে সংগঠনটি। গতকালের পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আজ বেলা ১২ টায়, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নেতারা বলেন,পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্য সত্যের অপলাপ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ বিষয়ক সমম্বয়ক দিদারুল ভুঁইয়া। সংবাদ সম্মেলনে প্রারম্ভিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমম্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার যে পুলিশের মাধ্যমে দমন-পীড়ন করেই তার লুন্ঠনের রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে চায় তার প্রকৃত উদাহরণ গতকালকের হামলা। এই মুহুর্তে জনগণের প্রাণের দাবি দ্রবমূল্য কমাতে হবে,সেই দাবিতে সমাবেশে সরকারের পুলিশ নির্বিচার হামলা করে, ভয় – ভীতি দেখিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে দমিয়ে রাখতে চায়।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্য সত্যের অপলাপ। তিনি এই ডামি-সিন্ডিকেটের অগণতান্ত্রিক সরকারের গদি রক্ষার্থে এখন সব বিষয়েই কথা বলা শুরু করছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর দাবির শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে তিনি বলছেন, ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্য’ নাকি করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রীর এই মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানান এবং একইসাথে লুটপাটের সাথে জড়িত সিন্ডিকেট টিকিয়ে রাখতেই যে ওনারা এত মরিয়া হয়ে আবোল তাবোল বলছেন, গতকালের হামলাই সেটা প্রমান করে। আমরা বহুবার বলেছি, সিন্ডিকেটের মূল হোতাই এই সরকার, ফলে তারা সিন্ডিকেট টিকিয়ে রাখছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই হামলা-নির্যাতন করে জনগণের সংগ্রাম থামানো যাবেনা, এই সংগ্রাম আরো শক্তি ধারণ করে এই লুটেরা সরকারকে উচ্ছেদ করে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে।
কর্মসূচি : গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশী হামলা ও গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামীকাল ১ মার্চ, শুক্রবার, বিকেল ৪ টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদী সমাবেশ।