ইরান তাদের ‘কারাজ’ পরমাণু কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজন্সিকে (আইএইএ) পুনরায় ক্যামেরা বসানোর অনুমতি দিচ্ছে। চলতি বছরের জুনে এই পরমাণু কেন্দ্রে অন্তর্ঘাতমূলক হামলায় আইএইএ’র বসানো ক্যামেরাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বুধবার ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু নজরদারি সংস্থাকে তারা স্বেচ্ছায় পরমাণু কেন্দ্রে ক্যামেরা বসাতে দিতে সম্মত হয়েছেন। ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইরান আরও জানিয়েছে, ওই হামলার নিরাপত্তা এবং বিচারিক তদন্ত শেষ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজেন্সি সম্প্রতি হামলার নিন্দা জানাতে রাজি হয়েছেন। এই হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে ইরান।
ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সরকার আইন করেছে, পরমাণু কেন্দ্রে ক্যামেরায় রেকর্ড করা যাবে না। যদিও আইএইএ’র ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। তবে ইরান বলেছে, তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেই কেবল তারা রেকর্ডকৃত ভিডিও দেবেন।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। চুক্তিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় ইরান। কিন্তু ২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইরানও পারমাণবিক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা শুরু করে।
ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ২০১৫ সচল করতে ছয় বৈশ্বিক পরাশক্তি ফের আলোচনা শুরু করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যস্থতায় অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বৃহস্পতিবার এ আলোচনা শুরু হয়। আলোচনায় অন্যান্য বৈশ্বিক পরাশক্তির মতো চীনও অংশ নিয়েছে।