Saturday, July 27, 2024
spot_img
Homeধর্মপবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত

পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত

মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের কান্নার রোল

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদায় গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে সারা দেশে মহিমান্বিত রজনী পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফ ও মনোবাসনা পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি এবং অধিক সাওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত, তাহজ্জুদ নামাজ আদায়, জিকির-আজকার আর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ এ রাত। মাহে রমজানের খায়ের বরকত হাসিলের জন্য মুসল্লিরা রোনাজারি করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় দফায় দফায় মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাতে ফিলিস্তিনে বর্বর ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ এবং পবিত্র মসজিদুল আল আকসা পুনরুদ্ধারে মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া দেশ জাতি, মুসলিম উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। শবে কদর উপলক্ষ্যে আজ রোববার সরকারি ছুটি। শবে কদর উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

লাইলাতুল কদর অর্থ মহিমান্বিত রজনী বা মর্যাদাসম্পন্ন রাত। পবিত্র এ রাতেই মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর নাজিল হয়েছিল পবিত্র মহাগ্রন্থ’ আল-কোরআন। পবিত্র কোরআনে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। নবি করিম (সা.) এ রাতে নিজে ইবাদতে মশগুল থাকতেন এবং তার সাহাবিদেরও বেশি বেশি ইবাদত করার নির্দেশ দিতেন।

এই রাতকে কেন্দ্র করে পবিত্র কোরআনে ‘আল-কদর’ নামে একটি সূরাও আছে। ‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্র্নিধারণ করা হয়। তাই মুসলমানদের কাছে এ রাত অতীব পুণ্যময় ও মহিমান্বিত। সব সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে শবে কদরের রাতে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন রাসূল সা.।

শবে কদর উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাগরিবের নামাজের পর ‘পবিত্র শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য’ শীর্ষক এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মহা. বশিরুল আলম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী জামেয়া ইসলামিয়া জামে মসজিদের মুহতামিম মাওলানা সাকিবুল ইসলাম। পবিত্র রমজান মাসে দেশের অধিকাংশ মসজিদে তারাহির নামাজে কোরআন খতম গতকাল শেষ হয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments