এই সুরার শানে নুজুল বা অবতরণ প্রেক্ষাপট হলো নাজরান প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রাসুল (সা.)-এর সাক্ষাতের ঐতিহাসিক কথোপকথন। তাদের ব্যাপারে ৮৩টি আয়াত নাজিল হয়েছে। আরবের ইয়েমেন অঞ্চলের একটি অংশের নাম ছিল নাজরান। তার অধিবাসীরা ছিল খ্রিস্টান।
তাঁরা এসে বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে কথোপকথন করেন।
পবিত্র কোরআনের প্রতিটি সুরা গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে বিভিন্ন আয়াতের ফজিলত পাওয়া যায়। সুরা আলে ইমরান তিলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত আছে। এই সুরা কিয়ামতের কঠিন দিনে সুপারিশ করতে উপস্থিত হবে। আবু উমামা বাহিলি (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করবে। কেননা কিয়ামতের দিন তা তিলাওয়াতকারীর জন্য শাফায়াতকারী হিসেবে উপস্থিত হবে। তোমরা দুটি সমুজ্জ্বল সুরা বাকারা ও আলে ইমরান তিলাওয়াত করবে। কেননা এ দুটি কিয়ামতের দিনে উপস্থিত হবে, যেন দুটি মেঘখণ্ড কিংবা দুটি ছায়াদানকারী কিংবা যেন দুটি ডানা বিস্তারকারী পাখির ঝাঁক, যারা তাদের তিলাওয়াতকারীদের পক্ষে সাহায্যকারী হবে। তোমরা সুরা বাকারা তিলাওয়াত করবে। কেননা তা তিলাওয়াত করায় বরকত রয়েছে এবং তা বর্জন করা আফসোসের। কারণ বাতিলপন্থীরা (জাদুকররা) তার সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারবে না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৭৪৭)
নাওয়াস ইবনে সামআন (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, কোরআন ও আহলে কোরআন যারা দুনিয়ায় তা অনুসারে আমল করেছে, সেই কোরআনপন্থীরা (কিয়ামতের দিন) আসবে এমন অবস্থায় যে তাদের আগে আগে থাকবে সুরা বাকারা ও আলে ইমরান। এরা উভয়েই তাদের ধারকদের পক্ষে (আল্লাহর দরবারে) বিতর্ক করবে। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ২৮৮৩)
তাই এই সুরা বেশি বেশি পাঠ করা উচিত। মহান আল্লাহ সব মুমিন নারী-পুরুষকে তাওফিক দান করুন। আমিন।