পাঁচ বছর বয়সী ওকলে কার্লসন গত ৬ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই শিশুর বড় বোন বাবা-মার প্রতি হত্যার অভিযোগ এনে সন্দেহজনক দাবি করায় তাদেরকে সেকেন্ড ডিগ্রি অপরাধের আওতায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর এর জের ধরেই শিশুকে খুঁজতে তল্লাশি বন্ধ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এ ঘটনা ঘটে।
ওকলে কার্লসন ৬ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ থাকলেও অনুসন্ধানী দল বলছে, তাকে সর্বশেষ ১০ ফেব্রুয়ারি দেখা গিয়েছিল। নিখোঁজ শিশুর ছয় বছর বয়সী বোনের দাবি অনুযায়ী তার বাবা-মা জর্ডান বোয়ার্স ও অ্যান্ড্রিউ কার্লসনের বিরুদ্ধে সন্দেহের তীর তীব্র হচ্ছে। হত্যার দায়ে তাদের এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেস হারবার কাউন্টির আন্ডারশেরিফ ব্র্যাড জোহানসন সোমবার বলছেন, ৩০০ একরের বেশি জায়গাজুড়ে চিড়ুনি অভিযানের পর তল্লাশি বন্ধ করা হয়েছে।
ওকলেকে খোঁজা শুরু হয় ৬ ডিসেম্বর থেকে, যখন তার স্কুলের প্রিন্সিপাল তাকে খুঁজতে ওয়েলফেয়ারকে অনুরোধ জানান। অনুসন্ধানী দলকে স্কুল প্রিন্সিপাল জানান, ওই শিশুকে দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে দেখা যায়নি। এরপর প্রিন্সিপাল ও তার মেয়ের সাথে আলোচনার পর ওকলের বড় বোন দাবি করে, ওকলেকে মেরে ফেলা হয়েছে, সে আর বেঁচে নেই।
এক সাক্ষাৎকারে ওকলের বোন দাবি করে, ‘তার মা তাকে ওকলের সম্পর্কে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করেছিলেন। তার মা তাকে বলছিলেন, ওকলে বনে গিয়েছিল এবং নেকড়ে তাকে খেয়ে ফেলেছে।’
ওকলের ৯ বছর বয়সী ভাই গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, ‘মা জর্ডান বোয়ার্স “ওকলেকে আলমারির মধ্যে রেখেছিলো, সম্ভবত একটি সিঁড়ির নিচে। আমি তাকে বেল্ট দিয়ে মারতে দেখেছি।’
ওকলের বাবা-মা দাবি করেছেন, তারা শেষবার তাকে ৩০ নভেম্বর জীবিত দেখেছিলেন। নিখোঁজ শিশুটির দাদা-দাদি পুলিশকে জানিয়েছেন যে তারা গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ওকলেকে দেখেননি।
এদিকে জোহানসন বলেন, ওকলেকে না পাওয়া গেলেও বাবা-মা হত্যা বা হত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হতে পারেন। দুজনকে বর্তমানে গ্রে হারবার কাউন্টি জেলে রাখা হয়েছে এবং ৩০ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে৷