ডায়াবেটিস একটি নিরব ঘাতক। এর জটিলতা তৈরি হয় পা থেকে মাথা পর্যন্ত। ডায়াবেটিসের কারণে অনেক সময় অন্ধ হয়ে যেতে হয়, ওজন কমে যায়, হার্ট, কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভোগেন। কিন্তু সচেতন হলে রোগটিকে প্রতিরোধ করা যায় এবং নিয়ন্ত্রণে রেখে জীবনভর সুস্থ থাকা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডায়বেটিক রোগী বৃদ্ধির হার বেশি। রোগটি সম্পর্ককে সাধারণ মানুষ খুব বেশি জানেন না। রোগটি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) কর্তৃক এফিফ্যান্ট রোডের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
এনডিএফ’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন এনডিএফ’র সেক্রেটারি জেনারেল চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. এ কে এম ওয়ালীউল্লাহ, বিএসএমএমইউ এনডিএফ শাখার সভাপতি পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রো এন্টেরোলজিস্ট ডা. মো: আতিয়ার রহমান।
আরো বক্তব্য রাখেন, এনডিএফ’র সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ডা. সাজেদ আব্দুল খালেক, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) সভাপতি ডা. মো: মোফাজ্জল হোসেন অধ্যাপক ডা. মাহমুন হোসেন, ডা. গোলাম ফারুক হোসেন প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীরুল আলম সোহেল।
ডা. এ কে এম ওয়ালীউল্লাহ বলেন, সারা বিশ্বে এই রোগে ৫৩ কোটি লোক আক্রান্ত। এই রোগের জটিলতা মাথা থেকে পা পর্যন্ত। সচেতনতা বাড়াতে না পারলে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস মহামারীতে রূপ নেবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে রোগটি সম্বন্ধে ভাসা ভাসা ধারণা রয়েছে। কিন্তু ডায়াবেটিস হলে যে স্ট্রোক হতে পারে, হার্ট নষ্ট হতে পারে এসব ধারণা মানুষের মধ্যে নেই। রোগটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভাষায় সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
ডা. মো: আতিয়ার রহমান বলেন, ডায়াবেটিস সম্পর্কে সবারই ভালো ধারণা থাকা দরকার। সচেতনতার অভাবে এই রোগে আক্রান্তরা কম শনাক্ত হচ্ছে। জনগণের জন্য বেশি বেশি ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, এই রোগে আক্রান্তরা ডায়েট, ডিসিপ্লিন, ড্রাগ (নিয়ন্ত্রিত খাবার, নিয়মানুবর্তিতা এবং ওষুধ) বা থ্রি-ডি মানলে তাদের সুস্থ জীবনযাপন সহায়ক হবে।