Friday, July 26, 2024
spot_img
Homeকমিউনিটি সংবাদ USAনিউ মেক্সিকোতে মুসলিমদের খুনের জন্য দায়ী পিতা-পুত্র!

নিউ মেক্সিকোতে মুসলিমদের খুনের জন্য দায়ী পিতা-পুত্র!

নিউ মেক্সিকোতে মুসলিমদের খুনের সঙ্গে জড়িত পিতা-পুত্র। এ ঘটনায় খুনির পিতাকে মূল সন্দেহভাজন হিসেবে মনে করছে পুলিশ। এতে তার ছেলেরও ভূমিকা আছে। নিউ মেক্সিকোতে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডে মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তারা নিরাপত্তাহীন মনে করছেন। স্বাভাবিক কাজ করতে পারছেন না। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ফেডারেল প্রসিকিউটররা সোমবার আদালতে একটি ফাইল জমা দিয়েছেন। 

তাতে বলা হয়েছে, গত ৫ই আগস্ট নিউ মেক্সিকোর আলবুকুরকুতে হত্যা করা হয়েছে ২৫ বছর বয়সী উদ্যোক্তা নাঈম হোসেনকে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে শাহিন সৈয়দ (২১) নামে এক যুবককে। প্রসিকিউটররা বলেছেন, ওই একই সময় ওই একই এলাকায় অবস্থান করছিলেন শাহিন সৈয়দের পিতা মুহাম্মদ সৈয়দও (৫১)। 

এমন ফাইল জমা দেয়ার পর শাহিনের জামিন বাতিল করে দেয় আদালত। জবাবে শাহিনের আইনজীবী জন অ্যান্ডারসন বলেন, অভিযোগ অতি মাত্রায় ঠুনকো এবং অনুমাননির্ভর। 

দুটি হত্যাকাণ্ডের খুনি হিসেবে এবং চারটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য শাহিনের পিতা মুহাম্মদ সৈয়দকে গত সপ্তাহে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ।

ধারণা করা হয়, তিনি বা তারা মুসলিমদের মধ্যে বিভেদকে ঘৃণা হিসেবে ব্যবহার করে সেই ক্রোধ থেকে হত্যাকা- চালিয়ে থাকতে পারেন। 

মিথ্যা ঠিকানা দেয়ার অভিযোগে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শাহিনকে। প্রসিকিউটররা বলেছেন, এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচারের মুখোমুখি করতে সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য তথ্যপ্রমাণ আবিষ্কার করেছে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা। 

এফবিআইয়ের বিশ্লেষণী সেল টাওয়ারের ডাটা অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের শিকারে পরিণত দু’জন মুসলিমের দাফন অনুষ্ঠানে ৫ই আগস্ট যোগ দিয়েছিলেন নাঈম। সেখান থেকে ফেরার সময় তাকে পর্যবেক্ষণ করেন শাহিন। পার্কিং লট পর্যন্ত তাকে অনুসরণ করেন তিনি। সেখানেই নাঈমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের আগে পরে শাহিন দ্রুত ফোন করেন তার পিতা মুহাম্মদ আতিফ সৈয়দকে। টেলিফোন-কলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে অন্য হত্যাকা- সম্পর্কে কোনো তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি প্রসিকিউটররা। 

ওদিকে ১লা আগস্ট হত্যা করা হয় মুহাম্মদ আফজাল হোসেনকে। তার ভাই ইমতিয়াজ হোসেন মনে করেন, এই হত্যার সঙ্গে জড়িত দু’জন। হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছে একটি পিস্তল ও রাইফেল। ইমতিয়াজ আরও বলেন, সন্দেহজনক কোনো একজন ব্যক্তির পক্ষে একই সঙ্গে দুটি অস্ত্রের ব্যবহার জটিল বিষয়। আফজালকে হত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছে আফগান শরণার্থী মুহাম্মদকে। এর মধ্যে আফজালের বাড়ি পাকিস্তানে। 

২০২১ সালের ৭ই নভেম্বরে সুপারমার্কেট মালিক মোহাম্মদ আহমাদিকে (৬২) গুলি করে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে মোট চারজন মুসলিমকে সেখানে হত্যা করা হয়েছে। নাইম ও আহমাদির খুনির বিরুদ্ধে শক্তিশালী অভিযোগ আনার জন্য কাজ করছেন প্রসিকিউটররা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments