রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে নিউ ইয়র্কের আদালতে দায়ের করা মামলায় হেরে গেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফিলিপাইনের গণমাধ্যম ইনকোয়ারার এমন খবর দিয়েছে। যে ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল তারাই গণমাধ্যমকে মামলা খারিজের বিষয়টি জানিয়েছেন। নিউ ইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট ‘পর্যাপ্ত এখতিয়ার নেই’ উল্লেখ করে তিন বছর আগে করা মামলাটি খারিজ করে দেয়।
ব্লুমবেরি রিসোর্ট কর্প জানিয়েছে, গত ৮ই এপ্রিল ওই মামলার রায় দিয়েছে আদালত। ২০২০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থ ফেরত পেতে ওই মামলাটি করেছিল। মামলায় সোলারি রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনো ও ম্যানিলা বে পরিচালনাকারী ব্লুমবেরি রিসোর্টু কর্প, রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্প (আরসিবিসি) এবং ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় ‘কেটিয়ার ইনফ্লুয়েন্সড অ্যান্ড করাপ্ট অরগ্যানাইজেশনস অ্যাক্ট’ বা রিকো ষড়যন্ত্র মামলা খারিজে বিবাদীদের যৌথ আবেদন মার্কিন আদালত মঞ্জুর করে।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ওই অর্থ হ্যাক হয়। সুইফট সিস্টেমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেয়া হয় ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকে।ওই অর্থ পরে একটি ক্যাসিনোতে নিয়ে সাদা করা হয়। এর মধ্যে একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে ফিলিপিন্স সরকার বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দিলেও বাকি ছয় কোটি ৬৪ লাখ ডলার উদ্ধারের বিষয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। জুয়ার টেবিলে হাতবদল হয়ে ওই টাকা শেষ পর্যন্ত কোথায় গেছে, তারও কোনো হদিস মেলেনি। সেটি উদ্ধারেই রিজার্ভ চুরির তিন বছরের মাথায় নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন সাদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে একটি মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আদালতে সেটি খারিজ হয়ে গেছে।