দীর্ঘ ১১ বছর পর নিউজিল্যান্ডের কয়লা খনি থেকে দুজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছে তদন্তকারী দল।
নিউজিল্যান্ডের কয়লা খনিতে আটকে পড়ে ২০১০ সালে ২৯ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিউজিল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলের পাইক রিভার কয়লাখনিতে এ বিস্ফোরণ ঘটে। গ্যাস নির্গত হওয়ার পরিমাণ এতো বেশি ছিলো যে, উদ্ধারকাজে ভিতরে যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো।
নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ছিলো ২০১০ সালের কয়লা খনি দুর্ঘটনা। মূলত গ্যাস নির্গত হওয়ার কারণে নিউজিল্যান্ডের পাইক রিভার কয়লাখনি বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় মোট ৩১ জনের মধ্যে ২ জন বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়।
পুলিশ বলেছে যে তারা দুই জন মানুষের দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছে এবং তৃতীয় জনের বিষয়েও চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা আরো বলছে, এই মুহূর্তে মৃতদেহগুলো শনাক্ত করা সম্ভব না তবে এরইমধ্যে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করা হয়েছে। তদন্তের কাজে ছয় থেকে আটজন কাজ করছেন।
এদিকে নিহতদের পরিবার বলেছে,মরদেহগুলো যে উদ্ধার করা হচ্ছে, এতে করে বিচারকাজ সহজ হবে। রাউডি ডারব্রিজ, যার ছেলে খনি দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলেন, আমরা আমাদের ছেলের মৃত্যুর ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে কঠোর লড়াই করেছি, এবং এটি সে বিষয়কে আরো এগিয়ে দিচ্ছে।’
আনা অসবোর্ন, যার স্বামী ওই ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনি বলেন, ‘আমরা যা দেখেছি এবং সেখানে যা ঘটেছিল সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।’
২০১৭ সালে সরকার একটি পুনরুদ্ধার অভিযান করতে চেয়েছিলো কিন্তু ব্যয়বহুল ও ঝুঁকি বিবেচনা করে চলতি বছরের মার্চে তা বাতিল করা হয়।