নতুন প্রজন্মের ব্যাপক অংশ গ্রহণে নিউইয়র্কে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন ‘৯৩ ইউএসএ’র বর্ণাঢ্য ঈদ পুনর্মিলনী। গত ১৯ জুন রোববার সন্ধ্যায় জ্যামাইকার তাজমহল পার্টি সেন্টারে জমকালো আয়োজনে এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল স্মৃতিচারণ, সম্মাননা প্রদান, কেক কাটা সহ প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীদের জমকালো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
বাংলাদেশ থেকে ১৯৯৩ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশ করা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা ফেসবুক মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হন ‘৯৩ ইউএসএ’ নামের এ প্লাটফর্মে। ওই আয়োজনে ’৯৩ ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। আমেরিকার বিভিন্ন স্টেট থেকেও সংগঠনটির সদস্যরা স্বপরিবারে যোগ দেন।

‘৯৩ ইউএসএ’ গ্রুপ ক্রিয়েটর ও এডমিন মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন বন্ধু সিয়া চৌধুরী। এরপর বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর শুরু হয় বন্ধুদের স্মৃতিচারণ পর্ব। এতে একেক করে স্মৃতিচারণ করেন এডমিন মো. রিমন, কামরুজ্জামান নিন, মোঃ খলিলুর রহমান, এএসএম মাঈনুদ্দিন পিন্টু, মো. মেজবাউল হক অপু, জাহাঙ্গীর আলম, মো. হান্নাহ, আনোয়ার পারভেজ, এইচ এম শরিফুল ইসলাম রানা, শ্যামা শ্যামা, কামরুল হাসান, জোবায়ের আহমেদ, রাফেজা রাফি, আমির আহমেদ, শারমিনা লিপা, রাজিব আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে খলিল বিরিয়ানী হাউজ এর কর্ণধার বন্ধু মোঃ খলিলুর রহমান মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল লাইফটাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ায় ‘৯৩ ইউএসএ’র পক্ষ থেকে তাকে বিশেষ সম্মাননা জানান হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে বন্ধুরা খলিলুর রহমানের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন।

বন্ধুরা তাদের বক্তৃতায় গ্রুপ ক্রিয়েটর ও এডমিন মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তারা ‘৯৩ ইউএসএ’র সাফল্য কামনা সহ আজীবন ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এরপর শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। উত্তর আমেরিকার জনপ্রিয় মাটি ব্যান্ডের পরিচালনায় শুরুতেই দ্বৈত কন্ঠে গান পরিবেশন করেন গ্রুপ এডমিন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও মডারেটর শ্যামা শ্যামা। সংগীত পরিবেশন করেন বন্ধু পরিজাত, বন্ধু রাফির ছেলে রিশাদ, বন্ধু অপুর সহধর্মিনী সনজনা। এরপর বন্ধুদের নাচের উন্মাদনায় মাতিয়ে মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কৃষ্ণা তিথি-রাজিব জুটি। তারা একক ও দ্বৈত সঙ্গীত পরিবেমন করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বন্ধুদের সন্তানেরা কেক কেটে পিতাদের হ্যাপি ফাদার্স ডে’র শুভেচ্ছা জানায়। সবশেষে গ্রুপ ক্রিয়েটর ও এডমিন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন অনেক পরিশ্রমের বিনিময়ে একটি স্বার্থক ও সফল অনুষ্ঠান উপহার দেয়ায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত-অনুপস্থিত সকল বন্ধুকে ধন্যবাদ জানান। আরো সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।