বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নয়ন-আলী পরিষদের বিজয় সুনিশ্চিত জেনেই একটি মহলের ইন্ধনে নির্বাচনটি বানচাল করা হয়। ব্রঙ্কসের নিরব রেষ্টুরেন্ট পার্টি হলে গত ১৪ নভেম্বর রোববার রাতে ব্রঙ্কস নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত সমাবেশ থেকে এমন অভিযোগ এনে ষড়যন্তকারীদের মুখোশ উন্ম্ােচন সহ তাদের সামাজিকভাবে বয়কটেরও আহ্বান জানান হয়েছে।

‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের ব্রঙ্কস নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জুনেদ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সমন্বয়কারী মো. শামীম মিয়ার পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির স্থগিত হওয়া নির্বাচন এর সভাপতি প্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন (নয়ন), সিনিয়র সহ সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রহীম হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ আলী, স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক প্রার্থী মো. সামাদ মিয়া (জাকের), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নিউইয়র্ক স্টেট কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর আহমেদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের ব্রঙ্কস নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মাহবুব আলম, সদস্য সচিব মোজাফ্ফর হোসেন, কুমিল্লা সোসাইটি অব ইউএসএ ইনকের সভাপতি আবুল খায়ের আখন্দ, সহ সভাপতি মিয়া মোঃ দাউদ, সাবেক সহ সভাপতি খবির উদ্দিন ভূইয়া ও সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক, ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ ইসলাম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী রবি উজ্জামান, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কস নিউইয়র্ক ইনকের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির সোহেল, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, সহ সাধারণ সম্পাদক মো: ইমরান আলী টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ বশির মিয়া, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আক্তারুজ্জামান হ্যাপী, অধ্যক্ষ মো. সানাউল্লাহ, জামাল উদ্দিন আহমেদ, মছনুর রহমান, আফজল হোসেন, মনজুর চকদার, শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা করোনা মহামারি সহ কমিউনিটি সেবায় নয়ন-আলী প্যানেলের প্রার্থীদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি এলাকায় ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের গণজোয়ার দেখে একটি মহল ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়। নয়ন-আলী প্যানেলের বিজয় সুনিশ্চিত জেনেই যেকোন উপায়ে নির্বাচনটি বন্ধের জন্য ওঠেপড়ে লাগে মহলটি। নির্বাচন স্থগিত হওয়ার জন্যে কে বা কারা দায়ী তা চিহ্নিত করার দাবি জানান বক্তারা।

সভাপতি প্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, সিনিয়র সহ সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রহীম হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় আমরা স্তম্ভিত। আমরা হতাশ। এমন পরিস্থিতির জন্যে যারা দায়ী তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের সামাজিকভাবে বর্জনের আহ্বান জানান তারা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র নির্বাচন গত ১৪ নভেম্বর রোববার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গত ১২ নভেম্বর শুক্রবার নিউইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্থগিত হয় ব্যয়বহুল এ নির্বাচনটি। এর আগে ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবরও একইভাবে স্থগিত হয়েছিল আলোচিত এই নির্বাচন।
নিউইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টে নিরু এস নীরা নামক এক প্রবাসীর দায়েরকৃত (ইনডেক্স নম্বর ৭২৪৫০২/২০২১) মামলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সোসাইটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনিসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ২৪ নভেম্বরের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক জবাব দিতে বলা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে ২ ডিসেম্বর।