বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের নিশ্চিত জয়কে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যেই শেষ মুহুর্তে নির্বাচনটি বানচাল করা হয়। ব্রঙ্কসের নিরব রেষ্টুরেন্টের সামনে গত ১৫ নভেম্বর সোমবার রাতে প্যানেলটির ব্রঙ্কস নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত সমাবেশ থেকে এমন অভিযোগ এনে মামলাকারী এবং এর পেছনের ইন্ধনদাতাদের পরিচয় উদঘাটনের আহ্বান জানান হয়েছে।

ব্রঙ্কস নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ড মেম্বার আব্দুল হাসিম হাসনুর সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশী-আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনের সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকনের সঞ্চালনায় এ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরী, বাংলাবাজার বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান লিংকন, ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রব মিয়া, সহ সভাপতি প্রার্থী ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রুহুল আমিন সিদ্দিকী, কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী নওশেদ হোসেন, সাহিত্য সম্পাদক প্রার্থী ফয়সল আহমদ, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী জাহিদ মিন্টু, নোয়াখালী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সমন্বয়কারী তাজুল ইসলাম তাজু, মূলধারার রাজনীতিক মির্জা মামুন রশিদ, বাংলাদেশী-আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি লুকমান হোসেন লুকু ও শাহ বদরুজ্জামান রুহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার চৌধুরী, বাংলা ক্লাব ইউএসএ’র সভাপতি আবুল কালাম পিনু, সহ সভাপতি মো. মমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন. সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক, সদস্য কাজি মাহে আলম, বিশ্বনাথ প্রবাসী কল্যাণ সমিতি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি মখন মিয়া, কুমিল্লা সোসাইটি অব ইউএসএ ইনকের সহ সভাপতি মিয়া মোঃ দাউদ, ব্রঙ্কস নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মীর সারোয়ার আলী, যুগ্ম সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম খান, প্রধান সমন্বয়কারী রিয়াজ উদ্দিন কামরান, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মঈন উদ্দিন লটো, জামাল উদ্দিন আহমেদ, তামিম চৌধুরী প্রমুখ।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা সোসাইটির বৃহত্তর স্বার্থে মামলাবাজ ও দূর্নীতিবাজদের প্রতিহত করার আহবান জানান।
‘রব-রুহুল’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রব মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রুহুল আমিন সিদ্দিকী বলেন, যারা নির্বাচনে সম্ভাব্য পরাজয় মেনে নিতে পারছিলেন না তারাই নির্বাচন বানচালের পথ বেছে নেন। মামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে সোসাইটির নির্বাচন কমিশন, ট্রাস্টিবোর্ড সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তারা। প্রয়োজনে তারাও এ মামলায় এটর্নী নিয়োগ করতে প্রস্তুত বলে জানান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র নির্বাচন গত ১৪ নভেম্বর রোববার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গত ১২ নভেম্বর শুক্রবার নিউইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্থগিত হয় ব্যয়বহুল এ নির্বাচনটি। এর আগে ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবরও একইভাবে স্থগিত হয়েছিল আলোচিত এই নির্বাচন।

নিউইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টে নিরু এস নীরা নামক এক প্রবাসীর দায়েরকৃত (ইনডেক্স নম্বর ৭২৪৫০২/২০২১) মামলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সোসাইটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনিসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ২৪ নভেম্বরের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক জবাব দিতে বলা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে ২ ডিসেম্বর।
এ নির্বাচনে সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের ১৯টি পদে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হন। এর মধ্যে ‘রব-রুহুল’ ১৯জন এবং ‘নয়ন-আলী’ প্যানেল থেকে ১৭ জন এবং স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থী হিসেবে সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন এবং স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল মোমেন (সোহেল) প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন।
‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের ১৯জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইকালে এ প্যানেলের দুই সদস্যের মনোয়নপত্র বাতিল এবং চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ৩৮জনের নাম প্রকাশিত হয়। এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭,৫১০।