Tuesday, March 28, 2023
spot_img
Homeধর্মনবীজি (সা.) কোনো মনগড়া কথা বলেননি

নবীজি (সা.) কোনো মনগড়া কথা বলেননি

‘মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল’ এই সাক্ষ্য দেওয়া ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মহান আল্লাহর নির্দেশ হলো—‘তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও যে জ্যোতি আমি অবতীর্ণ করেছি তাতে বিশ্বাস স্থাপন কোরো। তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত। ’ (সুরা তাগাবুন, আয়াত : ৮)

মুহাম্মদ (সা.)-কে আল্লাহর রাসুল হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার অন্যতম দিক হলো ‘তিনি যে সংবাদ দিয়েছেন তাতে সত্য বলেছেন’ বলে বিশ্বাস করা।

অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর নবুয়ত ও আল্লাহর বাণী প্রচারের ব্যাপারে যা কিছু বলেছেন সত্য বলেছেন। যেমন তিনি সমগ্র মানব ও জিন জাতির জন্য প্রেরিত রাসুল, তিনি শেষ নবী এবং তাঁর মাধ্যমে নবুয়তের দ্বারা সমাপ্ত হয়েছে, তাঁর শরিয়ত পূর্ববর্তী সব শরিয়তকে রহিত করেছে, তিনি পরিপূর্ণভাবে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন, কোরআন আল্লাহর বাণী এবং শরিয়তে মুহাম্মদি আল্লাহর নির্দেশে প্রবর্তিত ইত্যাদি। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সত্য প্রচারের সাক্ষী মহান আল্লাহ নিজে দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং সে মনগড়া কথাও বলে না। এটা তো ওহি, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়। ’ (সুরা নাজম, আয়াত : ৩-৪)

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে, যাতে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনো এবং রাসুলকে শক্তি জোগাও ও তাকে সম্মান করো; সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো। ’ (সুরা ফাতহ, আয়াত : ৮-৯)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর ঈমান আনতে হবে। কেননা তিনি ছিলেন সুপথের অধিকারী। মহান আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং তোমরা ঈমান আনো আল্লাহর প্রতি ও তাঁর বার্তাবাহক উম্মি নবীর প্রতি যে আল্লাহ ও তাঁর বাণীতে ঈমান আনে এবং তোমরা তাঁর অনুসরণ কোরো, যাতে তোমরা সঠিক পথ পাও। ’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৫৮)

আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments