নায়করাজ রাজ্জাকপুত্র খালিদ হোসেন সম্রাট। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তবে এখন সেভাবে সিনেমার পর্দায় দেখা মেলে না তার। কী করছেন এখন? সম্রাট বলেন, শোবিজের আসার আগেই ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সেটা নিয়েই ব্যস্ত আছি। পারিবারিক ও নিজের দুটো ব্যবসাই সামলাচ্ছি। পরিবার চালানোর জন্য যেটা করা প্রয়োজন সেটাই করছি। আর কিছু ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি।সবার সঙ্গে দেখা হয়। ভালো লাগে। গল্প করি, শুটিং করি। দেখা যায় মাসে তিন-চার দিন সিডিউল থাকে। আপনি তো মূলত চলচ্চিত্রের মানুষ। বড় পর্দার কাজে না দেখার কোনো বিশেষ কারণ আছে কী? নিজ থেকে দূরে সরে আছেন, নাকি নির্মাতাদের অনীহা? উত্তরে সম্রাট বলেন, অনেক সিনিয়র শিল্পীরা বসে আছেন। কাজ পাচ্ছেন না। ওনারা কীভাবে জীবন যাপন করছেন এগুলো দেখার কেউ নেই। এখন কয়টা চলচ্চিত্র হলে মুক্তি পায়! এখানে কাজ করে কীভাবে টিকে থাকবো! আগে তো আমাকে টিকতে হবে। এখন যারা চলচ্চিত্র বানাচ্ছে এবং শিল্পী যারা কাজ করছেন তাদের অবশ্যই বাহবা দিব। আপনাদের তো নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা আছে। আপনাদের একটা প্রোডাকশনও করার কথা ছিল। সেটার কি খবর? এ নায়ক বলেন, ২০১৫ সালে আমাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বশেষ ছবি ‘কার্তুজ’ মুক্তি পেয়েছিল। আর নাটক প্রযোজনা হয়েছে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এরপর আসলে সেভাবে নাটক বা চলচ্চিত্র কোনোটাই প্রযোজনা করা হয়নি। চলচ্চিত্রের এই দুরাবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব? সম্রাটের উত্তর-এখন আসলে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। মানুষ হলে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আমি নিজেও নেটফ্লিক্স, অ্যামাজনে সিনেমা-সিরিজ দেখি। হলে খুব কম যাওয়া হয়। আমাদের আরও উন্নত হতে হবে। নতুন বিষয়বস্তু নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশে কয়েকটি ওটিটি প্লাটফর্ম এসেছে। তারা তাদের যথাসাধ্য সময়পোযোগী কন্টেন্ট নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি কিভাবে দেখেন? সম্রাট বলেন, খুবই ইতিবাচক ব্যাপার। কিছু কাজ আসলে দারুণ হচ্ছে। কাজের মতো কাজ হচ্ছে। হয়তো এমনও হতে পারে ৫/১০ বছর পর এটা মেইনস্ট্রিম হয়ে যাবে। কারণ, হলিউডেও এখন ওটিটিতে ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এই মাধ্যমকে ফেলে দিলে হবে না।