যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হোস্টনে নতুন একটি বাড়ি হচ্ছে। বাড়িটি নির্মাণের প্রক্রিয়ার কারণে এটি আলোচনায় এসেছে। কারণ, বাড়িটি নির্মাণ করা হচ্ছে থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে।
প্রকল্পটি নিয়ে প্রকৌশলী, নকশাকার এবং ভবন নির্মাণকারীদের মধ্যে দুই বছর ধরে কাজ চলার পর এটি আলোর মুখ দেখছে। নির্মাতাদের প্রত্যাশা, থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে কম খরচে এবং দ্রুত বিশাল আকারের বাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে থ্রিুডি প্রিন্টার দিয়ে তৈরি করা প্রথম দোতলা ভবন এটি। ১২ টন ওজনের থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে নির্মাণ কাজ চলছে। ৪০০০ স্কয়ার ফিটের এই ভবন নির্মাণ করতে সময় লাগছে ৩৩০ ঘণ্টা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, থ্রিডি প্রিন্টেড বাড়ি নিয়ে চিন্তা করার একদম প্রথম নিয়ামকটি হলো- এর তুলনামূলক কম খরচের বিষয়টি। এই প্রযুক্তি বাড়ি নির্মাণ খরচ কমিয়ে দেয় নানাদিক থেকে। বাড়ি নির্মাণে শ্রমিক মজুরি কমে যায় অনেকাংশেই। কারণ, প্রিন্টার নিজেই কাজ এগিয়ে দেয় অনেকটুকু।
থ্রিডি প্রিন্টেড বাড়ি তৈরির সময় ডিজিটাল ডিজাইন থেকেই সরাসরি তা প্রিন্ট হয়ে যায়। এজন্য কন্সট্রাকশন প্রসেস হয় অনেক দ্রুত এবং নির্ভুল। থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি দিয়ে একদিনের মধ্যেই একটি স্ট্রাকচার দাঁড় করিয়ে ফেলা যায়; যা প্রথাগত উপায়ে লাগত কয়েকমাস।
শুধু যে দাম কম আর সময় সাশ্রয়ী তাই না, থ্রিডি প্রিন্টিং হাজির হয়েছে আরেকটি বড় সম্ভাবনা নিয়ে। পুরাতন পদ্ধতিতে যখন সমস্ত নির্মাণকাজ করতে হতো হাতে, তখন ডিজাইনে কিছু সীমাবদ্ধতা থেকেই যেত। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দূর করেছে সেই সীমাবদ্ধতাকে। নিত্যনতুন, সৃষ্টিশীল যে সব নকশা এখন তৈরি করছেন স্থপতিরা, থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিই সেগুলো করতে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করছে।
সূত্র: বিবিসি