Friday, December 1, 2023
spot_img
Homeলাইফস্টাইলদেশে মৃত্যুর তৃতীয় কারণ স্ট্রোক

দেশে মৃত্যুর তৃতীয় কারণ স্ট্রোক

স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কে হঠাৎ রক্ত সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হওয়া। রোগটির মূল কারণ মানুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। যে কারণে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বেই তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপও ৫০ ভাগ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। 

পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ধূমপান, নিয়মিত মদ্যপান, কায়িক পরিশ্রম না করা, ফাস্টফুড বা জাংক ফুড গ্রহণও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। 

এমন বাস্তবতায় আজ দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস-২০২৩। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘টুগেদার উই আর, গ্রেটার দেন স্ট্রোক’ অর্থাৎ ‘আমাদের ঐক্য স্ট্রোকের চেয়েও প্রবল’। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসার্জারি বিভাগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। 

এছাড়া নিউরোসার্জারি সোসাইটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানী, বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগটি সম্পর্কে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।

নিউরোসার্জারি বিশেষজ্ঞরা যুগান্তরকে বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর তৃতীয় কারণ স্ট্রোক। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এর লক্ষণ বুঝতে না পারার কারণে রোগীকে হাসপাতালে নিতে বিলম্ব করেন। অথচ স্ট্রোকের রোগীর জন্য প্রথম চার ঘণ্টা গোল্ডেন আওয়ার বা অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিতে পারলে, শুধু ওষুধ দিয়েই রোগী একদিন পরেই সুস্থ শরীরে হেঁটে বাড়ি ফিরতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ সময় চিকিৎসকের কাছে আনতে দেরি হয় বলে ক্ষতি বেশি হয়।

ঢাকা মেডিকেলের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মোতাশিমুল হাসান শিপলু বলেন, স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী চেনার উপায়-মুখ বেঁকে যাওয়া, হাত একদিকে ঝুঁলে যাবে বা শক্তি কম পাবে, চোখে ঝাপসা দেখা এবং রোগীর কথা জড়িয়ে যাবে। তীব্র মাথাব্যথা এবং রোগী হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments