অভিনেতা বাপ্পারাজকে সচরাচর চলচ্চিত্রের অনুষ্ঠানগুলোতে দেখা যায় না। সর্বশেষ চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন কিন্তু নির্বাচনী মাঠে ছিলেন না। সে সময় কালের কণ্ঠের কাছে বাপ্পারাজ বলেছিলেন আমি নির্বাচন করি না, আমাকে করানো হয়।
শুধু তাই নয়, তিনি যে প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন সেই প্যানেলের সভাপতিকেও চাননি।
ইলিয়াস কাঞ্চনকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে বাপ্পারাজ স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ‘এটা তো ওপেন সিক্রেট, আমি কাঞ্চন ভাইকেই সমর্থন করব। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে ওনাকেই দরকার। ’
যাক সে নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন জয় পেয়েছিলেন, হেরে গিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ মিশা সওদাগর। হেরে গিয়েছিলেন বাপ্পারাজও। নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাপ্পারাজকে দেখা যায়নি।
বাপ্পারাজকে সচরাচর দেখা যায় না। সর্বশেষ রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবের একটি রেস্তোরাঁইয় ‘অপারেশন সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রের টিজার প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বাপ্পারাজ। তবে সেভাবে প্রকাশ্য হননি, ছিলেন অনেকটাই অন্তরালে।
এবারে নবনির্বাচিত শিল্পী সমিতির আয়োজিত ইফতার মাহফিলে দেখা গেল বাপ্পারাজকে। শুক্রবারে রাজধানীর মগবাজারের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ইফতারে অংশ নিতে আসেন ‘জজ ব্যারিস্টার’ খ্যাত এই অভিনেতা।
প্রথমে ‘আম্মাজান’ খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনমের সঙ্গে দেখা করেছেন বাপ্পারাজ। তারপরে এক কোনে গিয়ে ইফতার সারেন। অনেক সময় ধরে নির্মাতা সাফি উদ্দিন সাফির সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন। কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় আয়োজন কেমন ছিল। বাপ্পারাজ হাসলেন। বললেন, ‘ভালোই ছিল। ’
অবশ্য সেভাবে আড়ালে থাকা হয়নি বাপ্পারাজের। সহশিল্পীরা ইফতারের পরেই তার সঙ্গে একের পর এক ছবি তুলতে শুরু করেন। বাপ্পারাজও হাসিমুখে সকলের সঙ্গে ছবি তোলেন।
১৯৮৪ সালে ‘চাপা ডাঙ্গার বৌ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান বাপ্পারাজ। তারপরে, একেরপর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়ে গেছেন এদেশের দর্শকদের।সে সময় কালের কণ্ঠের কাছে বাপ্পারাজ বলেছিলেন আমি নির্বাচন করি না, আমাকে করানো হয়। শুধু তাই নয়, তিনি যে প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন সেই প্যানেলের সভাপতিকেও চাননি। ইলিয়াস কাঞ্চনকে সভাপতি হিসেবে দেখতে