‘সেমিফাইনালিস্ট’ তকমা ঝেড়ে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে নিউজিল্যান্ড। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে কিউইরা। পরাজিত দলে ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। চার বছর পর উইলিয়ামসনের নেতৃত্ব নিউজিল্যান্ড উঠলো আরেকটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে। সেখানেও হৃদয়ভাঙার গল্প। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের পথচলা ছিল চ্যাম্পিয়নের মতো। সেমিফাইনালে ফেভারিট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখে ‘ব্ল্যাক ক্যাপস’। আশায় বুক বাঁধলেন কিউই সমর্থকরা।এবার বুঝি শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরবেন উইলিয়ামসন-গাপটিলরা। আগের দুই ফাইনালে ব্যাট হাতে তেমন কিছুই করতে না পারা উইলিয়ামসন খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। ডেভিড ওয়ার্নার-মিচেল মার্শদের নৈপুণ্যে ম্লান নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের ৪৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংস। ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে টানা তিন হারের বেদনা সঙ্গী হলো উইলিয়ামসনের।
পুরো আসরে দারুণ পথচলায় সতীর্থদের নিয়ে গর্বিত নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। আবার তৃতীয়বারের চেষ্টাতেও ব্যর্থ হওয়ায় লজ্জিত তিনি। দাপুটে জয়ে শিরোপা জিতে নেয়া অস্ট্রেলিয়াকে কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি উইলিয়ামসন। তিনি বলেন, ‘আজ হয়নি, কিন্তু আমরা যেভাবে খেলেছি টুর্নামেন্টে, তার জন্য গর্বিত। ছেলেরা দায়বদ্ধ ছিল আমরা যা কিছু করতে চেয়েছি তার প্রতি। এখানে অনেকের হৃদয় ভেঙেছে, জয়ী দলে থাকা সবসময় সুন্দর। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে কৃতিত্ব দিতে চাই। ভালো ক্রিকেট হয়েছে। আমরা ভেবেছি খেলায় দুটি ফলই সম্ভব। নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করতে পারিনি আমরা, এটা লজ্জার।’
১৭২ রানকে লড়াই করার মতো স্কোর মনে করেছিলেন উইলিয়ামসন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভালো একটা জায়গায় যেতে চেয়েছি। কিছু ভালো জুটি হয়েছে। যে লক্ষ্য দিয়েছিলাম, আমাদের মনে হয়েছে লড়াই করার মতো। এটা দারুণভাবে তাড়া করতে হতো। অস্ট্রেলিয়া দুর্দান্ত দল, তারা এটা করে ফেলেছে। ভালো সংগ্রহ গড়েছেন কি না, এটা কখনোই বুঝতে পারবেন না। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি বড় স্কোর দাঁড় করাতে। অনেক দূর যেতে পারিনি। অস্ট্রেলিয়ার কৃতিত্ব তারা যেভাবে রানটা তাড়া করেছে, আমাদের কোনো সুযোগ দেয়নি।’