দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গে ছিলেন বাদল রায়। শুরু করেছিলেন ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। এবার সভাপতি পদে হেরে ২৪ বছর পর বাফুফে ছাড়লেন বাদল রায়। বাদল রায়ের মতো দীর্ঘদিন পর বাফুফে ছাড়লেন আমিরুল ইসলাম বাবু, ফজলুর রহমান বাবুল, শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, ইকবাল হোসেন, অমিত খান শুভ্ররা। এদের মধ্যে দুই যুগের বেশি বাফুফের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর। ফজলুর রহমান বাবুল ও আমিরুল ইসলাম বাবু দুই দশকের বেশি সময় যুক্ত ছিলেন দেশের ফুটবলে।
বাদল রায় যখন ফুটবলার থেকে সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তখন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন হারুনুর রশীদ। এখনো সদস্য হয়ে বাফুফেতে আছেন হারুন।
এসএ সুলতানের আমলেও বাফুফেতে ছিলেন বাদল রায়। এরপর তিন দফা কাজী মো. সালাউদ্দিনের সঙ্গে বাফুফের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সাবেক এই কৃতী ফুটবলার। এবার সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সভাপতি পদেই দাঁড়িয়ে যান তিনি। যদিও অদৃশ্য এক চাপে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের লড়াইয়ে শামিল হতে পারেননি বাদল রায়। তারপরেও ৪০ ভোট পেয়েছেন। এ নির্বাচনে হারের মধ্যদিয়ে ২৪ বছর পর বাফুফে ছাড়েন সাবেক এই কিংবদন্তী ফুটবলার। বাফুফের চারবারের সদস্য ছিলেন আমিরুল ইসলাম বাবু। এবার বাবু লড়াই করেন সহ-সভাপতি পদের জন্য। স্বপ্ন ছিল জয়ী হয়ে ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার পথে হবেন অন্যতম সারথি। কিন্তু হলো না তার স্বপ্নপূরণ। সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচন করে ৫৬ ভোট পেলেও এ যাত্রায় হেরে গেছেন। সম্মিলিত পরিষদ থেকে সদস্য পদে লড়াই করে হেরেছেন শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার ইকবাল হোসেন। এদের মধ্যে শওকত আলী জাহাঙ্গীর সংগঠক হিসেবে দীর্ঘদিন ছিলেন বাফুফেতে। আগে দুইবার সহ-সভাপতি ছিলেন। লীগ কমিটির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। সর্বোচ্চ ভোটে বাফুফের গত নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু এবার মাত্র ৩৯ ভোট পেয়ে কাটা পড়েছেন অভিজ্ঞ এই সংগঠক। গত আট বছর বাফুফের সদস্য ছিলেন ইকবাল হোসেন। এবারও সম্মিলিত পরিষদ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন সাবেক এই জাতীয় ফুটবলার। সম্মিলিত পরিষদ থেকে মাত্র ৫২ ভোট পেয়ে হেরেছেন আরেক সাবেক জাতীয় ফুটবলার অমিত খান শুভ্র। আগের তিন মেয়াদে সালাউদ্দিনের প্যানেল থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন ফজলুর রহমান বাবুল। গ্রাউন্ডস কমিটির দায়িত্ব পালন করা এই অভিজ্ঞ সংগঠক এবার নির্বাচন করেছেন সালাউদ্দিন বিরোধী সমন্বয় পরিষদ থেকে। ওই প্যানেল থেকে নির্বাচন করে মাত্র ৫১ ভোট পেয়েছেন তিনি।