ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২ : ২ লিভারপুল
আগের দিন প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার বাকি দুই শক্ত দাবিদার আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি নিজেদের ম্যাচে জয় পেয়েছিল।আজ তাই ওল্ড ট্রফোর্ডে শক্তিশালী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয়ের জন্যই খেলতে হত লিভারপুলকে।
তবে এদিন দারুণ ফুটবল খেলেও এদিন ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয় পায়নি ইয়োহেন ক্লপের দল।ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রিমিয়ার লীগের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি ড্র হয়েছে ২-২ ব্যবধানে। লুইস দিয়াজের গোলে এগিয়ে যাওয়া লিভারপুলের দাপট দেখিয়েছে প্রথমার্ধ জুড়েই।তবে ছন্দহীন ইউনাইটেড দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায়।ব্রুনো ফের্নান্দেসের গোলে সমতা ফেরানো পর ইউনাইটেডকে লিড এনে দেন দলের তরুণ তুর্কি কোবি মাইনু।শেষদিকে মোহাম্মদ সালাহর সফল স্পটকিকে সমতায় ফেরে লিভারপুল। শেষের কয়েক মিনিট বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালালেও জয়সূচক গোলে দেখা আর পায়নি অলরেডসরা।
মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে লিভারপুলের প্রিমিয়ার লীগ শিরোপার জয়ের স্বপ্ন। আজ জিতের লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল অল রেডসদের সামনে। তবে ড্র করে দ্বিতীয় স্থানে থাকতে হচ্ছে সালাহদের।৩১ ম্যাচ৭১ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আর্সেনাল পয়েন্ট সংখ্যা সমান হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে তার পরেই আছে ইয়োহেন ক্লপের দল।৭০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে সিটি।
এদিন প্রথমার্ধে মাঠে ইউনাইটেডকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। প্রথম কয়েক মিনিটে কয়েকটি কর্নার জিতে সম্ভাবনা দেখালেও খুব দ্রুতই ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকেরা ।লিভারপুলের একের পর আক্রমণের সামনে ঘরের মাঠেই খেই হারিয়ে ফেলেছিল এরিক টেন হেগের দল।
প্রথমার্ধে ইউনাইটেড এর গোল মুখে ১৫ টি শট নেয় লিভারপুল, যার চারটি ছিল গোলমুখে।একাধিক সুযোগ হারানোর পর লিভারপুল প্রথম সফলতা পায় ২৩ তম মিনিটে। কর্নার থেকে দারউইন নুনিয়েজের মাথা ঘুরে বল আসে লুইস দিয়াজের কাছে। দারুণ এক ভলিতে জাল খুঁজে নেন কলম্বিয়ান উইঙ্গার।গোল পাওয়ার পরেও চলতে থাকে লিভারপুলের দাপট। তবে আক্রমণ ভাগের দুর্বলতা ও ইউনাইটেড ওনানার দক্ষতায় বিরতির আগে আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি লিভারপুল।
বিরতির আগে নিষ্প্রভ ইউনাইটেড দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে উঠে। প্রথম ভাগে একটি শটও নিতে পারা স্বাগতিকেরা এ সময় নিয়েছে আটটি শট,যার চারটি ছিল গোলমুখে।৫০ তম মিনিটে ইউনাইটেডের সমতা ফেরানো গোলে অবশ্য ভুল ছিল লিভারপুলের।জ্যারেল কোয়ানশার অবিশ্বাস্য ভুল পাস থকে বল পেয়ে প্রায় ৪৫ গজ দূর থেকে ফাঁকা পোস্টে বল পাঠান ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই ৬৭ তম মিনিটে ১৮ বছর বয়সী কোবি মাইনুর দুর্দান্ত এক গোলে পিছিয়ে পড়ে অলরেডসরা।
পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধের মত আবারও আক্রমণের ঝড় বয়ে দেয় লিভারপুল। একের পর এক আক্রমণ করে যাওয়া লিভারপুল সমতায় ফেরে ৮৪ মিনিটে। পেনাল্টি বক্সে হার্ভি এলিয়টকে ফেলে দিয়েছিলেন অ্যারন ওয়ান-বিসাকা। ম্যাচে বেশ কয়েকটি সুবর্ন সুযোগ নষ্ট করা মোহাম্মদ সালাহ স্পটকিকে কোন ভুল করেননি।