Friday, July 26, 2024
spot_img
Homeলাইফস্টাইলত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ডায়মন্ড পিল

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ডায়মন্ড পিল

শীতের এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতাহীনতায় শরীরের বিশেষ করে মুখের ত্বক রুগ্‌ণ, খসখসে ও লাবন্যহীন হয়ে যায় তাই ত্বকের লাবন্যতা ধরে রাখার জন্য অনেকে বাড়তি যত্ন নেন। এই সময়টাতে আপনার মুখের বা ত্বকের সৌন্দর্যের দিকে একটু যত্ন বা খেয়াল রাখতে পারেন। আজকাল বিউটি পার্লারের চেযে ডার্মাটোলজি চিকিৎসকগণ আপনার এ বিষয়ে ভালো পরামর্শ বা চিকিৎসা দিতে পারেন । হয়তো আপনি ব্যস্ততার কারণে ত্বকের বা মুখের   সৌন্দর্যের কথা খেয়ালই রাখছেন না। কিন্তু অবসরে বা হঠাৎই আপনার ত্বকের সৌন্দর্য্য নিয়ে ভাবেন বা কিছু করার জন্য বিউটি পার্লারে ছুটে যান। তখন বিউটি পার্লার প্রচণ্ড ঘষা-মাজা বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ক্রিম বা উপকরণ দিয়ে ফেসিয়াল করে দিলো তাতে আপনার মুখের ত্বকের প্রচণ্ড ঘষা-মাজার কারণে ক্ষতি হয়। সাধারণত সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, পরিবেশ দূষণ, কর্মব্যস্ততা, অনিদ্রা, বার্ধক্য এসব কারণে ত্বকে দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা।

যেমন- কালো দাগ, বলিরেখা, ব্রণ, বিবর্ণ, মলিন ও রুক্ষ ত্বক আরও কত কিছু।এক সময় ত্বকের সমস্যায় মেডিকেটেড ক্রিম-লোশন ছিল ভরসা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে সংযোজন হয়েছে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এমনই এক আধুনিক চমৎকার পদ্ধতি। হলো-ডায়মন্ডপিল। ডায়মন্ড পিল মেশিনে ছোট কলমের আকারের মতো হ্যান্ড  হোল্ড ডিভাইস ব্যবহার করা হয়, যার মাথায় ছোট ডায়মন্ড টিপ থাকে। এই ছোট যন্ত্রটিকে নির্দিষ্ট গতিতে এক চাপে ত্বকের ওপর ব্যবহার করা হয়, যা দু’ভাগে কাজ করে। প্রথমত, বহিঃস্তরের মৃত কোষ সারিয়ে নতুন কোষ তৈরিতে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। দ্বিতীয়ত, ব্লাড সার্কুলেশন বাড়িয়ে কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। তাই ডায়মন্ড পিলের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন অতি সহজে দাগহীন কোমল মসৃণ ত্বক। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন, এ ধরনের মেশিন ব্যবহারে ধকে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এ ধারণা ভুল। কারণ শুকনো ফেস টাওয়েল দিয়ে মুছলে যে ধরনের অনুভূতি হয় ডায়মন্ড পিলের স্পর্শ ঠিক তেমনই। তাই তো মুখ, পিঠ, ঘাড়, পেট ছাড়াও সংবেদনশীল স্থান যেমন চোখের নিচে ও চারপাশে ব্যবহার করা যায়। মাইক্রোডার্মাব্রাসনের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। আর এই মাইক্রোডার্মাব্রাসনের উন্নত সংস্করণ হলো ডায়মন্ড পিল।  রোদে পোড়া কালো দাগ, ব্রণের অগভীর ক্ষত, ওপেন  পোর ব্লক ও হোয়াইট হেডস, ত্বকে সূক্ষ লাইন, আনইভেন স্কিন টোনথ এসব সমস্যায় ডায়মন্ড পিল ব্যবহারে চমৎকার ফল পাওয়া যায়। ডার্ক সার্কেল আমাদের প্রজন্মের একটি সাধারণ সমস্যা। সবাই কমবেশি এ সমস্যায় ভুগছেন। শুধু ডার্ক সার্কেলই নয়, চোখের নিচের ফোলা ভাব, ভাঁজ, বার্ধক্যের ছাপ এসব কিছু ডায়মন্ড পিল ব্যবহারের মাধ্যমে ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ব্রণ ও তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা-সমাধানে ডায়মন্ড পিলের জুড়ি নেই। ব্রাইটনেস ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা অসাধারণ। সাধারণত ডার্মাটোলজিস্টরা দু’দিন থেকে দুই সপ্তাহ পর ছয় থেকে আটটি সেশন নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেশনের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ও ৩০ থেকে ৫০ এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। ডায়মন্ড পিলের কোনো সাইড ইফেক্ট নেই সেশনের পর আপনি আপনার দৈনন্দিন কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে পারেন। আর যাদের ত্বক ভীষণ সেনসেটিভ তাদের ক্ষেত্রে ত্বকে লালচে ভাব দেখা দিতে পারে। এটি সাময়িক ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এমনিতেই চলে যায়। আমাদের দেশের স্কিন ক্লিনিকগুলোয় অভিজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্টরা ডায়মন্ড পিলের ব্যবহারে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছেন। তাই ডায়মন্ড পিল ব্যবহার করে মুথের বা ত্বকের সৌন্দর্য্যকে তৈরি করে নিতে পারেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments