জি৭ এবং তাদের মিত্রদের রাশিয়ার তেলের মূল্য বেঁধে দেয়াকে সমর্থন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ভারতকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পবন কাপুরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্দার নোভাক বিবৃতি দিয়েছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৫ই ডিসেম্বর জি৭ ভুক্ত দেশগুলো এবং তাদের মিত্ররা রাশিয়ার তেলের যে দাম বেঁধে দিয়েছে তা সমর্থন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন উপপ্রধানমন্ত্রী। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন হিন্দুস্তান টাইমস।
উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্দার নোভাক জোর দিয়ে বলেছেন, দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জ্বালানি সম্পদ সরবরাহে দায়িত্ব পালন করছে রাশিয়া। পূর্ব ও দক্ষিণে যেসব দেশ জ্বালানি সংকটে আছে তাদের কাছে জ্বালানি রপ্তানি করে বৈচিত্র আনছে রাশিয়া। সেপ্টেম্বরের শুরুতে রাশিয়া থেকে আমদানি করা তেলের মূল্য বেঁধে দিতে একমত হয় জি৭ ভুক্ত দেশগুলো।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম আট মাসে রাশিয়া ভারতে যে পরিমাণ তেল রপ্তানি করেছে তা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে এক কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টন। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমাদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া সত্ত্বেও এই দেশটি থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে ভারত। রাশিয়া থেকে তেল কেনার এই সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতে সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানিতে গ্রীষ্মকালে রাশিয়া ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। উপরন্তু তেলজাত পণ্য এবং কয়লা সরবরাহও বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাষ্ট্রদূত পবন কাপুরের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় আলেকজান্দার নোভাক ‘রাশিয়ান এনার্জি উইক ২০২৩’ ফোরামে যোগ দেয়ার জন্য ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক এই ফোরাম আগামী বছর ১১ থেকে ১৩ই অক্টোবর মস্কোতে হওয়ার কথা রয়েছে। সাক্ষাতে উভয় পক্ষই নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য রেকর্ড পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। কাপুর এবং নোভাক অব্যাহতভাবে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তেল, পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ও সারের মতো জ্বালানি উৎসের বাণিজ্যিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা বৃদ্ধির আহ্বান জানান তারা।