তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনে প্রত্যাশামতোই চেয়ারপারসন পুনর্নির্বাচিত হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুনর্নির্বাচিত হয়ে কর্মী-সমর্থকদের রাজ্যের সংগঠনের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাংগঠনিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় নির্বাচন হয়। বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলায় নিজেদের ঘর সামলান।
এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠুন যাতে ২০২৪ সালে ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৪২টিই পায়। ‘
মমতা জাতীয় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিআইএমকে উৎখাত করে প্রথমবার রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছিল তাঁর দল। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। রাজ্যের গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে আঞ্চলিক দলের পরিচয় পাশ কাটিয়ে সর্বভারতীয় স্তরে তাদের গুরুত্ব তৈরি হোক। গতকাল সাংগঠনিক নির্বাচনে এদিকেই বিশেষ নজর দেওয়ার তাগিদ দেন দলের প্রতিষ্ঠাতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘উৎখাত করার’ ব্যস্ত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে মমতা বলেন, ‘আপনারা বাংলায় কাজ করুন। যাতে আমি বাইরে কাজ করতে পারি। আপনারা আমাকে বলুন, বাংলা আমরা সামলাচ্ছি, আপনি দিল্লি থেকে বিজেপিকে হটান। ‘
গত বিধানসভা নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরা রাজ্যেও দল বিস্তারে মনোযোগ দেয়। সুদূর গোয়ার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও লড়ছে দলটি। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করতে সেখানে প্রচারে যাবেন মমতা। এ ছাড়া আগামী লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গতকালের সাংগঠনিক বৈঠকে মমতা আরো জানান, এবার নতুন সাংগঠনিক নেতৃত্বকে নিয়ে দলের প্রথম বৈঠক হবে দেশের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। এদিন মমতা বলেন, ‘আমরা বাংলা থেকে সিপিআইএমকে তাড়াতে পারলে দিল্লি থেকে ওদেরও (বিজেপি) তাড়াতে পারব। ‘
সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিবিরোধী লড়াইয়ে কংগ্রেস যদি তৃণমূলকে সমর্থন না করে তবে তারা নিজেরাই সেই লড়াই করবে বলে জানান মমতা। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।