Thursday, April 18, 2024
spot_img
Homeলাইফস্টাইলডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কৃত্রিম অগ্ন্যাশয়

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কৃত্রিম অগ্ন্যাশয়

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সফলভাবে একটি কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় তৈরির পরীক্ষা চালিয়েছেন যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নতুন জীবন দিতে পারে। এটি অ্যালগরিদম দ্বারা চালিত একটি অ্যাপ। যার সাথে  গ্লুকোজ মনিটর এবং ইনসুলিন পাম্প সম্পৃক্ত ।  সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীদের সংখ্যা  ক্রমাগত বাড়ছে।  টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেক লোকই ইনসুলিন ইনজেকশনের মতো বর্তমানে উপলব্ধ চিকিত্সা ব্যবহার করে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে।  নতুন সিস্টেমটি  ডায়াবেটিস  রোগের  বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করতে পারে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েলকাম-এমআরসি ইনস্টিটিউট অফ মেটাবলিক সায়েন্সের গবেষকরা একটি কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় তৈরি করেছেন যা স্বাস্থ্যকর গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

CamAPS HX নামে পরিচিত অ্যাপটি একটি অ্যালগরিদম দ্বারা চালিত হয় যা নির্ধারণ করে যে  গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখার জন্য কতটা ইনসুলিন প্রয়োজন। গবেষণার সহ-নেতৃত্বকারী  ডঃ শার্লট বাউটন জানাচ্ছেন -” যাঁরা ইনসুলিন ইনজেকশন নেয় কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় তাদের সাহায্য করার জন্য একটি নিরাপদ এবং কার্যকর পদ্ধতি প্রদান করতে পারে এবং প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা সহজ এবং বাড়িতে নিরাপদে প্রয়োগ করা যেতে পারে। ”’নেচার’ মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডিভাইসটির প্রথম ট্রায়ালের বিবরণ দেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার জন্য ২৬ জন রোগীকে বেছে নেওয়া হয়েছিল এবং তাদের  দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিলো।  প্রথম গ্রুপটি আট সপ্তাহের জন্য কৃত্রিম অগ্ন্যাশয়ের  পরীক্ষা করবে এবং তারপর   ইনসুলিন ইনজেকশনের স্ট্যান্ডার্ড থেরাপিতে স্যুইচ করবে।

দ্বিতীয় গ্রুপটি প্রথমে ইনসুলিন ইনজেকশনের স্ট্যান্ডার্ড থেরাপি  গ্রহণ করবে এবং তারপর আট সপ্তাহ পরে কৃত্রিম অগ্ন্যাশয়ে স্যুইচ করবে। তারা দেখেছে যে কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় ব্যবহার করার পর গড় গ্লুকোজের মাত্রা কমেছে। কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন, বা HbA1c নামে পরিচিত একটি অণুর মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে, যা রক্তে গ্লুকোজের সাথে হিমোগ্লোবিন যোগ করার সময় তৈরি হয়। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ডাঃ আইডিন ডেলি যোগ করেছেন ” ইনসুলিন থেরাপির ব্যাপক ব্যবহারে ‘হাইপোস’  অর্থাৎ  বিপজ্জনকভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাবার  ঝুঁকি থাকে ।কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম যে আমাদের ট্রায়ালে কোন রোগীই এগুলো অনুভব করেননি। ”গবেষকরা  রোগীদের জন্য এটি বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ করতে প্রস্তুতি চালাচ্ছেন ।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments