রাশিয়ান বাহিনী রোববার পূর্ব ইউক্রেনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ডনবাস অঞ্চলের দুটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছে যেখানে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনা আটকা পড়ে গিয়েছে। ফলে ইউক্রেনও এই অঞ্চলে শক্তিবৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্ক করেছিলেন যে, যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে। রাশিয়ানরা রোববার বেশ খানিকটা অগ্রগতি করেছে। সিভিয়েরোডোনেৎস্ক এবং লাইসিচানস্কের মেট্রোপলিটন এলাকার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত তোশকিভকা নামের একটি ছোট শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে যা কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আঞ্চলিক সামরিক গভর্নর সের্গেই হাইদাই স্বীকার করেছেন যে, রাশিয়ানরা তোশকিভকা এলাকায় ‘সাফল্য পেয়েছে’।
রোববার রাতে তোশকিভকা কে নিয়ন্ত্রণ করেছিল তা স্পষ্ট নয়। মস্কোর বাহিনী শেষ পর্যন্ত সিভিয়ারোডোনেৎস্ক এবং লাইসিচানস্ককে ঘিরে ফেলতে সফল হলে, তবে, দুই শহর রক্ষাকারী হাজার হাজার ইউক্রেনীয় যোদ্ধা আটকা পড়তে পারে। এটি ক্রেমলিনকে একটি কঠিন সামরিক বিজয় প্রদান করবে এবং রাশিয়ান বাহিনীকে ইউক্রেনের পূর্ব ডনবাস অঞ্চল দখল করার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির ভি পুতিনের উদ্দেশ্য পূরণের এক ধাপ কাছাকাছি নিয়ে আসবে। এলাকায় ফোন যোগাযোগ সীমিত, এবং সিভিয়ারোডোনেৎস্ক এর দিকে যাওয়ার সেতুগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, যার ফলে সেখানকার পরিস্থিতির সঠিক চিত্র পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
ওয়াশিংটনের গবেষণা গোষ্ঠী দ্য ইনস্টিটিউট ফর স্টাডি অফ ওয়ার বলেছে যে, রাশিয়া শহরের চারপাশে ‘প্রান্তিক লাভ’ করেছে কিন্তু ডনবাসের বাকি অংশে তার আক্রমণ ‘অনেকাংশে স্থবির’ হয়েছে। ‘রাশিয়ান বাহিনী সম্ভবত আগামী সপ্তাহগুলিতে সিভিয়েরোডোনেৎস্ক দখল করতে সক্ষম হবে,’ ইনস্টিটিউট তার সর্বশেষ মূল্যায়নে বলেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে, রুশ সৈন্য এবং মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও সিভিয়ারোডোনেৎস্কের দক্ষিণ-পূর্বে মেটোলকাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস বলেছে যে, অনেক ইউক্রেনীয় যোদ্ধা সেখানে আত্মসমর্পণ করেছে।