মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় চিকিৎসা-সংক্রান্ত কোনো কারণে ট্রাম্প যদি দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন তবে সাময়িক সেই দায়িত্ব ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কাছে যেতে পারে। এর আগে দুজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে এমন ঘটনার নজির রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সংবিধানের ২৫তম সংশোধনীর সেকশন-৩ অনুযায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের অক্ষমতার কথা লিখিতভাবে জানিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন। ১৯৬৩ সালে জন এফ কেনেডি হত্যার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ১৯৬৭ সালে এই সংশোধনীটি করা হয়েছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন কোনো ঘোষণা দিলে মাইক পেন্স ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবেই গণ্য হবেন। নিজের পূর্ণ ক্ষমতা ফেরত পেতে হলে প্রেসিডেন্টকে আবার লিখিতভাবে তা জানাতে হবে। রয়টার্স জানায়, একই সংশোধনীর চতুর্থ সেকশনে আরেকটি বিধান রয়েছে, যেখানে মন্ত্রিসভা যদি মনে করে প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালনে সক্ষম নন, তবে তাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এই বিধান কখনো প্রয়োগ করা হয়নি।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের দুজন প্রেসিডেন্ট এই সংশোধনী বলে তার ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছ সাময়িকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। রয়টার্স জানায়, ১৯৮৫ সালের ১৩ জুলাই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান কিছু সময়ের জন্য তার ভাইস প্রেসিডেন্ট এইচ ডব্লিউ বুশের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। সেকশন-৩-এর কথা উল্লেখ না করলেও চিকিৎসা-সংক্রান্ত কারণে তিনি লিখিতভাবেই এ দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। ওই দিন আট ঘণ্টার জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন এইচ ডব্লিউ বুশ। পরে রিগ্যান আবার লিখিতভাবে নিজের সক্ষমতার কথা জানালে তিনি দায়িত্বে ফিরে আসেন।
দ্বিতীয় ঘটনাটি বেশি আগের নয়। ২০০২ সালের ২৯ জুন চিকিৎসা-সংক্রান্ত কারণে ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। ওই দিন দুই ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন ডিক চেনি। এর পর ২০০৭ সালের ২১ জুলাই জর্জ বুশ আবারও কিছু সময়ের জন্য ডিক চেনির দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলেন। দুবারই তিনি ২৫তম সংশোধনীর সেকশন-৩ এর কথা উল্লেখ করে লিখিতভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলেন।