মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) টিস্যুবক্সে প্রিন্ট করে মুজিববর্ষের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে মুজিববর্ষ নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ থাকলেও এমন ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকে।
হাবিবুর রহমান অভি নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারি বলেন, এটাও দেখতে হবে, ভাবতে পারিনি। শিক্ষা ভবন এত নিচে নামে কিভাবে? টিস্যু বক্সেও কেন বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগাতে হবে? কুমার আলী নামের আরেক ব্যবহারকারী বলেন, ভাবতে পারছি না, এরা কী বঙ্গবন্ধুকে উপরে তুলছে না নিচে নামাচ্ছে? এ সকল বাড়াবাড়ির বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার।
এদিকে, অতি অতিউৎসাহীদের সাবধান করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, প্রিন্টের বক্সগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করা হয়ে থাকলে অবশ্যই শাস্তি পেতেই হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) ফেসবুক পেজে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, মুজিববর্ষের লোগো অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে যত্রতত্রভাবে প্রিন্ট করার একটি ঘটনা যা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে হয়েছে, তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে এই প্রিন্টের বক্সগুলো বাজেয়াপ্ত করেছি এবং এর পিছনে কে সেটি জানাতে বলেছি। পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করা হয়ে থাকলে অবশ্যই শাস্তি পেতেই হবে।
উপমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজ, প্রশাসন, রাজনীতিক পরিমন্ডলের সবখানেই অবিবেচক আর অতিউৎসাহীর কোনো কমতি নাই। পাশাপাশি অপরাজনৈতিক শক্তির দোসররা তো আছেই! এরা চাইবে যে কোনো ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, বিতর্ক সৃষ্টি করতে। এই চ্যালেঞ্জটি আমাদের আছেই। এই বিশাল প্রশাসনের কোথায় কে কোন বিতর্ক ঘটিয়ে ফেলেছে তা আগে থেকে নিয়ন্ত্রণ কঠিন। তাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আর ব্যবস্থা নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সকলের অবগতির জন্য আমরা জানাচ্ছি “মুজিববর্ষের” আনুষ্ঠানিকতা কার্যক্রম, ইত্যাদির দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য একটি জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি আছে। এর প্রধান, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এই কমিটি কর্তৃক নির্দেশিত কাজের বাইরে কিছু করতে চাইলে আমাদের প্রানপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন দুস্থ, গৃহহীন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কল্যানমূলক কিছু করতে, যেমন তাদের জন্য গৃহনির্মান। এতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় তার সাধারণ মানুষের জন্য যেই সমান অধিকারের দেশ তিনি রেখে যেতে চেয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের পথে আমরা অনেক দুর এগুতে পারবো। সুতরাং অতিউৎসাহীরা সাবধান!