রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে অবশেষে জয়ের রাস্তায় ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শ্রেয়স আয়ারের দল সোমবার জিতল ৭ উইকেটে। টিকে থাকল প্লে-অফের আশাও। অনবদ্য খেললেন রিঙ্কু সিংহ। পাঁচে নেমে নীতীশ রানার সাথে জুটি বেঁধে দলকে জিতিয়ে দিলেন তিনি। রাজস্থানের ১৫২-র জবাবে তিন উইকেট হারিয়েই সেই রান তুলে নিল কলকাতা।
ম্যাচের আগে পিচ থেকে সঞ্চালক ম্যাথু হেডেন বলছিলেন, টসে যে-ই জিতুক, তার উচিত আগে ব্যাট নেয়া। কিন্তু শ্রেয়স টসে জিতে উল্টোটাই করলেন। কিছুক্ষণ পরে মনে হল তার সিদ্ধান্তই সঠিক। রাজস্থানের দুই ওপেনার শুরুটা মোটেই ভালো করতে পারলেন না। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই দেবদত্ত পাড়িক্কলকে তুলে নিলেন উমেশ যাদব। জস বাটলারের সাথে যোগ দেন সঞ্জু স্যামসন। দুই মারকুটে ব্যাটার ক্রিজে থাকা সত্ত্বেও রানের গতি বাড়ছিল না।
বাটলারকে নিয়ে ভয় ছিল কলকাতার। কিন্তু বোলাররা এ দিন বাটলারকে নির্বিষ করে রাখলেন। ইংল্যান্ডের ব্যাটার জ্বলে উঠতে পারেননি। বল বেশি নিয়ে নিচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ছয় মারতে গিয়ে টিম সাউদির বলে শিবম মাভির হাতে ক্যাচ দিলেন।
তিনে নামা করুণ নায়ার বা চারে নামা রিয়ান পরাগ, কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তবে উইকেটের আর এক দিকে টলানো যাচ্ছিল না সঞ্জুকে। কেকেআর বোলারদের অনায়াসেই খেলছিলেন। তবে পিচ ধীরগতির হওয়ার কারণে বড় শট মারতে সমস্যা হচ্ছিল। রান তোলার গতি বাড়াতে গিয়ে তিনি আউট হলেন অর্ধশতরানের পরেই। রাজস্থান যে দেড় শ’ পেরল, তার কৃতিত্ব শিমরন হেটমেয়ারের। শেষ দিকে ১৩ বলে ২৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।