অবশেষে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত রায়। হলো সত্যের বিজয়। প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায় জিতেছেন জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ। তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও এ রায়ের পর বলছেন, শেষ অবধি সত্যের জয় হয়েছে! গত বুধবার ভার্জিনিয়ার একটি আদালতের জুরি সদস্যরা জানিয়েছেন, অ্যাম্বার হার্ড তার প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে যে সহিংসতার অভিযোগ এনেছিলেন, তা মিথ্যা এবং অবমাননাকর। শুধু তাই নয়, অ্যাম্বার হার্ডকে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ডেপের বিরুদ্ধে ঘরোয়া সহিংসতার অভিযোগ আনার পেছনে হার্ডের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত। তবে ডেপের বিরুদ্ধে আনা কিছু অভিযোগের রায় হার্ডের পক্ষে গেছে। জুরিরা প্রমাণ পেয়েছেন, ডেপের আইনজীবীও হার্ডের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অবমাননাকর বিবৃতি দিয়েছেন। এজন্য হার্ডকে ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। মামলার রায়ের পর অ্যাম্বার হার্ড বলেন, আজ যে হতাশা বোধ করছি, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। প্রমাণের পাহাড়ও আমার প্রাক্তন স্বামীর বিপুল ক্ষমতা, প্রভাব ও প্রতিপত্তির সামনে দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ট না। মাত্র ১৫ মাস সংসারের পর ২০১৬ সালের মে মাসে বিচ্ছেদের আবেদন করেন হলিউডের তারকা দম্পতি জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড। ২০১৮ সালে অ্যাম্বার অভিযোগ আনেন, জনি তাকে শারীরিক, মানসিক ও মৌখিকভাবে নির্যাতন করেছেন। মিথ্যা অভিযোগ আনায় প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা ঠুকেন ৫৮ বছর বয়সী জনি ডেপ। পরে হার্ডও উল্টো ১০০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করেন জনির বিরুদ্ধে।