প্রথম দুই ম্যাচে জয়ে দিয়ে শুরু করা মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী জেমকন খুলনার বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরে টানা চার হারের সাক্ষী হয়েছে। বৃথা যায় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তের ফিফটি। ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে জেমকন খুলনা পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে।
১৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জেমকন খুলনার ৮.৩ ওভার স্থায়ী জুটিতে জাকির হোসেন ও জহরুল ইসলাম তুলে ফেলেন ৫৬ রান। ১৯ রান করে জাকির ফিরলে ভাঙে জুটি। ২০ রান পর ফিরে যান ৪০ বলে ৪৩ রান করা জহরুল ইসলামও। ইমরুল কায়েস ২৭ রান করলেও আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব আল হাসান (৪)। ইমরুল-সাকিবের পর দ্রুতই ফেরে শামীম হোসেন পাটোয়ারীও (৭)।
১০৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ ফসকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে জেমকন খুলনা। তবে শেষদিকে বল রানের ব্যবধান কমিয়ে দলের জয়ের পথটা সহজ করে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।শেষ দুই ওভারে খুলনার প্রয়োজন পড়ে ২১ রান। চোট কাটিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম মাঠে নামা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ১৯ তম ওভারেই আসে ১৫ রান।
শেষ ওভারে ৬ রান নিতে ২ বলের বেশি লাগেনি স্ট্রাইকে থাকা আরিফুল হকের। ৪ বল হাতে রেখেই নিজেদের চতুর্থ জয় নিশ্চিত করে জেমকন খুলনা। অপরাজিত থাকা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ১৯ বলে ৩১ রানের ইনিংস। আরিফুলের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান।
রাজশাহীর ইনিংসের শুরুতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও শেষদিকে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিংই বিজ্ঞাপন। এক প্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল দেখা শান্ত অন্য প্রান্ত আগলে রেখেছেন ১২.৪ ওভার পর্যন্ত। এই সময়ে খুলনার স্কোরবোর্ডে ওঠা ৮৩ রানের ৫৫ এসেছে শান্তের ব্যাট থেকে।
ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমনের সাথে জুটি জমেনি ৪ রানের বেশি। টানা ব্যর্থতায় একাদশে জায়গা হারিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে ব্যর্থ হয়েছেন টপ অর্ডারের আনিসুল ইসলাম ইমন (১) রনি তালিকদারও (১৪)। ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি হওয়া শেখ মেহেদী হাসানও ফিরেছেন ১৪ রান করে।
৩৮ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় ৫৫ রান করে অধিনায়ক শান্তের বিদায়ের পর দলের সংগ্রহ বাড়ানোর কাজটা করেছেন নুরুল হাসান সোহান। তাকে সঙ্গ দেন টুর্নামেন্টে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া জাকের আলি অনিক।
দুজনে অবিচ্ছেদ্য জুটিতে যোগ করেন ৫২ রান। ২১ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় ৩৭ রানে সোহান ও ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন অনিক। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৪৫ রানে থামে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। জেমকন খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন শুভাগত হোম। একটি করে ভাগাভাগি করেন শহিদুল ইসলাম, আল আমিন হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।