গোল করার সহজাত প্রতিভার জন্য তাকে অনেকেই ডাকেন ‘গোলমেশিন’ নামে। বরুশিয়া ডর্টমুন্ট থেকে চেলসিতে পাড়ি জমিয়েছন এ মৌসুমেই।নিজেদের আক্রমণভাগ আরো ক্ষুরধার করতে অমিত প্রতিভাধর এ নরওয়াইন ফুটবলারের পেছনে পেছনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালতে কার্পণ্য করেনি চেলসি। স্টার্লিং-হাচিনসনদের শূন্যতা হ্যাল্যান্ডের মাধ্যমেই পূরণ হবে বলেই প্রত্যাশা ক্লাব কর্তৃপক্ষের।
প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচে এই স্ট্রাইকারের নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সে অনেকেই এত টাকা দিয়ে তাকে কেনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।তার জবাব দিতেই যেন গতকাল চেলসির জার্সি গায়ে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন এই স্ট্রাইকার। জোড়া গোলে শুধু চেলিসকে ম্যাচই জেতাননি, এরলিং হ্যাল্যান্ড স্মরণীয় করে রাখলেন নিজের অভিষেকের রাত।
গতকাল ওয়েস্ট হ্যামের এর সাথে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি।ওয়েস্ট হ্যামের ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচের ৩৬ মিনিটে পেনাল্টি জিতে নেন হ্যাল্যান্ড।আর তা থেকে গোল করে লিড এনে দলকে।তারপর তার সেই চিরচেনা উদযাপন-চোখ বন্ধ করে অনেকটা ঋষিদের মত হাটু মুড়িয়ে মাটিতে বসে পড়া।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে আরেকবার পায়ের জাদু দেখান বর্তমান ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকার।ডি ব্রুইনার ডি বক্সে বাড়িয়ে দেওয়া বল নিখুঁত ফিনিশিং এ প্রতিপক্ষের জালে জড়ান।তার জোড়া গোলেই চেলসি নিজেদের প্রথম ম্যাচের ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে।