জোশুয়া রিবেরা ওরফে ডেপজম্যানকে যখন ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৮। ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের একটি অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে তাঁর ওপর আক্রমণ করা হয়। সেই মুহূর্তকে স্মরণ করে গত মাসে ‘লাইফ কাট শর্ট’ শিরোনামে ইউটিউবে একটি গান মুক্তি দেন জোশুয়ার মা অ্যালিসন কোপ। তরুণদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া থেকে দূরে রাখার প্রচারণা হিসেবে এই গানের সৃষ্টি।
ইউটিউব ও টিকটকে গানটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মধ্যে। ইংল্যান্ডের তরুণদের মধ্যে ক্রমাগত অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে গানটি সহায়ক হবে বলেও মনে করছে অনেকেই।
কিন্তু কী আছে এই গানে? কেনই বা এত জনপ্রিয় হলো সেটি? এর উত্তর খুঁজতে হলে যেতে হবে তিন বছর আগে। সেই সময় অ্যালিসন কোপের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিডিয়া কম্পানি ম্যাকক্যান লন্ডন। মূলত প্রতিষ্ঠানটি একটি মিউজিক ভিডিও বানানোর প্রস্তাব দেয়। আর সেই ভিডিওতে থাকবে তাঁরই মৃত ছেলে জোশুয়া। প্রাথমিকভাবে তারা একটি ডেমো ভিডিও তৈরি করে দেখায় কোপকে। প্রস্তাবটি উদ্ভট মনে হলেও সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এটা বেশ কাজে লাগবে ভেবেই রাজি হয়ে যান কোপ। তবে সাড়ে চার মিনিটের ভিডিওটি বানানো হয়েছে পুরোটাই ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং হলো ডিপফেক ভিডিও বানানোর প্রধান হাতিয়ার। প্রথমত, অ্যালিসন কোপ তাঁর ছেলের বিভিন্ন অভিব্যক্তির কয়েক শ ছবি শেয়ার করেন ম্যাকক্যান লন্ডনের সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানটি সেসব ছবি মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে জোশুয়ার মুখের সব ধরনের অভিব্যক্তির একটি সিমুলেশন তৈরি করে। তারপর কণ্ঠ জুড়ে দিয়ে বানিয়ে ফেলে ভিডিওটি।
এসবি টিভির ইউটিউব চ্যানেলে সেলি ওকের অফিশিয়াল ভিডিওটি প্রথম শেয়ার করা হয়। এ পর্যন্ত তিন লাখের বেশিবার ভিডিওটি দেখা হয়েছে। তবে টিকটকে ভিডিওটির খণ্ডাংশ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। পুরো ভিডিও দেখে নিতে পারেন ইউটিউবের https://youtu.be/2Bc9x4IjhWY লিংক থেকে।