জাহানাবাদ হয়েছে ছত্রপতি শম্ভুজী নগর। ওসমানবাদ হয়েছে ধীরাশিব। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বিজেপি মতাবলম্বী আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়কে প্রশ্ন করলেন, আপনারা কি ইতিহাস, পরম্পরা সব মুছে দিতে চাইছেন? অশ্বিনী উপাধ্যায় এরপরই বলেন, মুসলিম শাসকরা হাজার হাজার ভারতীয়কে হত্যা করেছে। তাদের নামাঙ্কিত জায়গাগুলোর নাম বদল করা প্রয়োজন। আমি এই ব্যাপারে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করার অনুমতি চাইছি। বিচারপতি জোসেফ বলেন, বেছে বেছে একটি সম্প্রদায়ের ইতিহাস মুছে ফেলার মধ্যে কোনো বীরত্ব নেই। আমি বেদ, গীতা, উপনিষদ পড়েছি। আমি খ্রিস্টান হলেও হিন্দুদের সহনশীলতার ভক্ত। যেভাবে একটা সম্প্রদায়কে ইরেজার দিয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে আমি তার বিরোধী।
বিচারপতি নাগ রত্নম বলেন, ভারত এক ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ।
এখানে অন্ধ আবেগের বশে নাম বদল করা যায় না। ভারতে ইতিমধ্যে এলাহাবাদের নাম প্রয়াগরাজ, ফাইজবাদের নাম অযোধ্যা, মুগোলসরাইয়ের নাম দীনদয়াল উপাধ্যায় নগর, হোসেনবাদের নাম নর্মদা পুরম, হাবিবগঞ্জ রেল স্টেশনের নাম রানি কমলাপতি, খিজিরাবাদের নাম প্রতাপগড়, মিয়া কী বডার নাম করা হয়েছে মহেশ নগর হল্ট।
বিচারপতিরা মনে করেন, এর দ্বারা ইতিহাস বা স্থানের মাহাত্ম মুছে ফেলা যায় না। অশ্বিনী উপাধ্যায় দাবি করেন, মুসলিম শাসকরা এমনকি শক্তিপিঠের নামও বদল করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা জানিয়ে দেন- ভবিষ্যতে নাম পরিবর্তনের আগে যেন দু’বার ভাবা হয়। সংখ্যাধিক্যের জোরে কোনো কিছু অন্যায় শুধু নয়, সংবিধানবিরোধী।