Wednesday, March 22, 2023
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকজাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়া বাদ

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়া বাদ

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে আয়োজিত সাধারণ অধিবেশনে আয়োজিত ভোটে রাশিয়াকে বরখাস্ত করা হয়।

রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনে ‘গণহারে এবং পরিকল্পিতভাবে নিপীড়ন এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন’ করেছে জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বরখাস্ত করেছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রস্তাবটি ভোট দেওয়া দেশগুলোর দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন পাওয়ায় রাশিয়াকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দিয়েছে ৯৩টি দেশ, বিপক্ষে ২৪টি দেশ ভোট দিয়েছে। বাংলাদেশসহ ৫৮টি দেশ ভোট দানে বিরত ছিল।এতে ভোটদানে বিরত দেশগুলোকে গণনা করা হয়নি।

রেজুলেশনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ ইউরোপের প্রায় সব দেশ, ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়া, চীন, বেলারুশ, কিউবা, ইরানসহ আরও কয়েকটি দেশ।

দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ সাতটি দেশ ভোট দানে বিরত ছিল। অন্যদিকে আফগানিস্তান অনুপস্থিত ছিল। এর আগে প্রথম রেজুলেশনে বাংলাদেশ ভোট দানে বিরত থাকলেও দ্বিতীয় রেজুলেশনে পক্ষে ভোট দেয়।

বৃহস্পতিবার তোলা প্রস্তাবে ‘ইউক্রেনে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে সেখানে রুশ বাহিনী দ্বারা পরিচালিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর নিয়ে।  

রাশিয়া দাবি, তারা ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য ইউক্রেইনের সেনা অবকাঠামো ধ্বংস করা। তারা সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

কোনো দেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে তিন বছরের জন্য সদস্য পদ পায়। রাশিয়া তার মেয়াদের দ্বিতীয় বছরে ছিল। মানবাধিকার কাউন্সিল কোনো দেশকে তাদের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য করতে পারে না। তবে তাদের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা বলে বিবেচিত হয়। এছাড়া, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্তের অনুমোদন দিতে পারে।

মস্কো এই কাউন্সিলের সব থেকে সরব সদস্যদের একজন ছিল। এখন বরখাস্ত হওয়ার কারণে তারা মতামত দেয়া বা ভোট দেয়ার সুযোগ পাবে না। তবে রুশ কূটনীতিকরা এখনো কাউন্সিলের বিতর্কে অংশ নিতে পারবেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments