Thursday, March 28, 2024
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকজম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয় : শিখ নেতা সিমরনজিৎ সিং...

জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয় : শিখ নেতা সিমরনজিৎ সিং মান

শিখ নেতা শিরোমণি আকালি দেলের সভাপতি সিমরনজিৎ সিং মান বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়। তিনি ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করার জন্য মোদী সরকারের সমালোচনা করে দাবি করেছেন, প্রচারিত অবিচ্ছেদ্য মন্ত্রকে ছিঁড়ে ফেলে বলতে চাই, জম্মু এবং কাশ্মীর একটি বিতর্কিত অঞ্চল হিসাবে রয়ে গেছে, যার ভবিষ্যত জাতিসংঘ-স্বীকৃত গণভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।–ডেইলি টাইমস, ট্রিবিউন ইন্ডিয়া, কাশ্মির লাইফ

যিনি পাঞ্জাবের সঙ্গরুর থেকে ভারতীয় সংসদের সদস্য এই শিখ নেতা, তার নিজ রাজ্য পাঞ্জাব যাওয়ার আগে জম্মুতে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল লাল নেহেরু জানুয়ারিতে কাশ্মীর বিরোধকে জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সমর্থন করেছিলেন। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে এ অঙ্গীকার করেন যে, এই অঞ্চলের ভবিষ্যত গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।

শিখ নেতা “জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ” দাবি করার জন্য ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করার জন্য মোদী সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কিভাবে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ হতে পারে, যখন তার মতো একজন দেশের সংসদ সদস্যকে ওই ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়; এটি এখনও একটি পৃথক রাজ্য, যেখানে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং যেখানে গণভোটের দাবি এখনও রয়েছে। মান উল্লেখ করেছেন যে, জম্মু ও কাশ্মীর যে ভারতের অংশ, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি কাশ্মীরি জনগণকে দমন করার বিরুদ্ধে ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ভারতীয় পুলিশ কাশ্মীরিদের কোনো কারণ ছাড়াই থানায় ডাকছে। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে যে কোনও শিখ, মুসলিম বা হিন্দুকে নিপীড়নের সাথে জড়িত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হবে। তিনি অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য মোদি সরকারের নিন্দা করেন এবং এই অঞ্চলে মোদী সরকার দ্বারা প্রচারিত স্বাভাবিক দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন।

উল্লেখ্য, সিমরনজিৎ সিং মান গত মাসে কাঠুয়ার একটি স্থানীয় আদালতে গিয়েছিলেন। কারণ, জেলা কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য অশান্তির কারণে তাকে উপত্যকায় যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। তিনি কাঠুয়ায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হয়েছিলেন কিন্তু হোটেল থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। যাইহোক, তার প্রতিনিধিরা আদালতে হাজির হলে ২৯ নভেম্বর মামলার শুনানির সিদ্ধান্ত নেয়িা হয়। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মান বলেন, তিনি সংসদের একজন নির্বাচিত সদস্য এবং ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে সেখানকার জনগণের অবস্থা জানতে কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

“তারা (বিজেপি নেতারা) বলছেন যে, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পরে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে কিন্তু এখানে একজন সংসদ সদস্যকে দেশের এই অংশে যেতে দেওয়া হয় না এবং আমার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, এটা কেমন অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে তিনি প্রশ্ন তুলেন। মান বলেন, তিনি সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে বিষয়টি উত্থাপন করবেন।

ভারতের এই সংসদ সদস্য বলেন, তার দেশের যে কোনও প্রান্তে যাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং তিনি ২০২৪ সালে শ্রীনগর থেকে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি আমার লড়াই ছেড়ে দেব না। যদি আমি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হই (সিজেএমের আদালত), তাহলে প্রয়োজনে আমি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও যাব। অক্টোবরের শুরুতে, মান দখলকৃত অঞ্চলে তার প্রবেশের উপর কর্তৃপক্ষের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী জম্মু ও কাশ্মীরের প্রবেশদ্বার লক্ষনপুরে বেশ কয়েকটি রাত কাটিয়েছিলেন। মান বলেছিলেন যে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন শাসন জনগণকে হয়রানি করছে এবং তিনি ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments