প্রতিদিনের মতোই জঙ্গলে ছাগলের পাল চরাতে গিয়েছিল ভারতের মধ্য প্রদেশের ভোপালের বেতুল গ্রামের বাসিন্দা, ১৫ বছরের দীপক। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) আচমকাই তার উপর চড়াও হয় বিশাল এক মা ভাল্লুক, সঙ্গে তার ছোট ছানা! ধারাল নখে ছিঁড়েখুড়ে দিতে থাকে দীপককে। প্রাণপন নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে দীপক, কিন্তু ভাল্লুকের শক্তির সঙ্গে পেরা ওঠা কি মুখের কথা! গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে থাকে আক্রান্ত যুবক, কিন্তু গহীন জঙ্গলে কে তার ডাকে সাড়া দেবে?
ঠিক এমন সময়েই ঘটে গেল আশ্চর্য এক ঘটনা। বনের একদিকে চরে বেড়াচ্ছিল একদল বুনো মহিষ। দীপকের চিৎকার তাদের কানে যায়। মূহুর্তের মধ্যে ছুটে আসে মহিষের দল, ঝাঁপিয়ে পড়ে ভাল্লুকটির উপর। মহিষের দলের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে রণে ভঙ্গ দিয়ে বাচ্চাকে নিয়ে পালিয়ে যায় মা ভাল্লুক।
বর্তমানে দীপক বেতুল জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। একটি সর্বভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপক জানালেন, ‘আমি জঙ্গলে ছাগল চরাতে গিয়েছিলাম। আচমকাই একটি মা ভাল্লুক ও ছানা আমার উপর হামলা করে। আমি প্রাণভয়ে চেঁচাতে থাকি, তখনই ছুটে আসে এই মহিষের দল। ঝাঁপিয়ে পড়ে ভাল্লুক দুটির উপর। প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি মহিষ ছিল দলে।’
দূর থেকে দাঁড়িয়ে এই গোটা দৃশ্য দেখছিল গ্রামেরই আরেকটি ছেলে। সেই ছুটে গিয়ে খবর দেয় দীপকের বাড়িতে। দীপকের বাবা জঙ্গলে গিয়ে দেখেন, মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ছেলে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় বেতুল জেলা হাসপাতালে।