যুক্তরাষ্ট্রের পর বৃটেনেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রনের নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট বিএ.৪.৬। ‘ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি’ বা ইউকেএইচএসএ-র সর্বশেষ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৪ই আগস্ট থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহে বৃটেনে যত মানুষের কোভিড শনাক্ত হয়েছে তার ৩.৩ শতাংশই ছিল বিএ.৪.৬। তবে সেটি এখন ৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রেও ছড়িয়েছে ওমিক্রনের এই সাবভ্যারিয়েন্টটি। দেশটির ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন’ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হওয়া কোভিড কেসগুলোর ৯ শতাংশেরও বেশি বিএ.৪.৬। বিশ্বের বহু দেশেই এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
সায়েন্স এলার্টের এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নতুন শনাক্ত হওয়া এই সাবভ্যারিয়েন্টটি মূলত ওমিক্রনের বিএ.৪ এর বংশধর। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম বিএ.৪ শতাক্ত হয়েছিল। এরপর এটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ঠিক কিভাবে সেখান থেকে বিএ.৪.৬ আবির্ভুত হলো তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি ‘রিকম্বিয়ান্ট ভ্যারিয়েন্ট’। যখন একই ব্যক্তি একই সময়ে দুটি ভিন্ন কোভিড ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয় তখন এমন নতুন ভ্যারিয়েন্টের সৃষ্টি হতে পারে।
বিএ.৪.৬ এবং বিএ.৪ এর মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে অনেক মিল রয়েছে।
তবে ওমিক্রনের সব ভ্যারিয়েন্টই তুলনামূলক কম গুরুতর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোতে যত মৃত্যু দেখা যেত, ওমিক্রনে মৃত্যুর হার তার থেকে অনেক কম। ফলে বিএ.৪.৬ এর ক্ষেত্রেও মৃত্যুর হার কমই থাকবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এখনও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে গুরুতর অসুস্থের হার কম হলেও এর ছড়ানোর ক্ষমতা বেশি। একই বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে বিএ.৪.৬ এরমধ্যেও। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, যারা ফাইজারের তিন ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাদের দেহে বিএ.৪.৬ এর বিরুদ্ধে তুলনামূলক কম এন্টিবডি উৎপন্ন হয়। তাই নতুন উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে যে, হয়তো নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন আর কার্যকর থাকবে না।
বিএ.৪.৬ এর মতো নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলোকে নীবির পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, এগুলো থেকে আবারও নতুন করে বিশ্বজুড়ে কোভিড মহামারি দেখা যেতে পারে। সাধারণ মানুষকেও এই আশঙ্কার বিষয়টি মাথায় রেখে সকল করোনাবিধি মেনে চলতে হবে।