ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় চেলসির কর্ণধার রোমান আব্রামোভিচকে ব্রাত্য করে ইংল্যান্ড সরকার। এবার প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবটির মালিকানা কিনেছেন মার্কিন ধনকুবের টড বোয়েলি।
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হওয়ার পর আব্রামোভিচের সম্পদ জব্দ করে নেয় ইংল্যান্ড সরকার। এমনকি ইংল্যান্ডে এই রুশ ধনকুবেরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপরই নতুন মালিকের তালাশে ছিল টিম ব্লুজ। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মে মাসের শেষের দিকে বোয়েলির কাছে মালিকানা হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
এক বিবৃতিতে চেলসি বলে, ‘টড বোয়েলির নেতৃত্বে একটি মালিক দল চেলসির মালিকানা স্বত্ব কিনে নিয়েছেন।’ বোয়েলির বাকি সঙ্গীরা হলেন, ক্লিয়ারলেইক ক্যাপিটাল গ্রুপ, মার্ক ওয়াল্টার এবং সুইস ব্যবসায়ী হ্যানজর্জ উয়াইজ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মোট বিনিয়োগের মধ্যে ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ড ক্লাবের শেয়ার কেনার জন্য খরচ করা হবে। এই খাতের আয় যুক্তরাজ্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জব্দ করা হবে এবং দাতব্য কাজে শতভাগ ব্যয় করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রোমান আব্রামোভিচ (চেলসির সাবেক মালিক)। এছাড়া নতুন মালিক ক্লাবের সুবিধার জন্য আরো ১.৭৫ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেবেন।’
বোয়েলি যুক্তরাষ্ট্রের বেসবল দল লস অ্যাঞ্জেলস ডজার্সের মালিক। পাশাপাশি হোল্ডিং প্রতিষ্ঠান এলডিরিজ ইন্ডস্ট্রিজের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং এনবিএ দল লস অ্যাঞ্জেলস লেকার্সে আংশিক শেয়ারও রয়েছে এ ধনকুবেরের।
৪.৯ বিলিয়ন ইউরো দিয়ে চেলসির মালিকানা কিনেছেন বোয়েলি। চেলসিকে কেনার দৌড়ে ছিলেন এনবিএ দল বোস্ট সেল্টিকসের সহ-মালিক ও আমেরিকান ব্যবসায়ী স্টিফেন পাগলিউকা এবং আন্তর্জাতিক এয়ারলাইস গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্যার মার্টিন ব্রটনও শেষ মুহূর্তে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি স্যার জিম র্যাটক্লিফও চেলসি কিনতে বোয়েলির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। চেলসিকে কেনার জন্য ৪.২৫ বিলিয়ন পাউন্ড বিড করেছিলেন তিনি।
এছাড়া বৃটেনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নিক ক্যান্ডি চেলসির মালিকানা পেতে ২০০ কোটি পাউন্ড পর্যন্ত খরচ করতে চেয়েছিলেন।
২০১৯ সালেও চেলসি কেনার চেষ্টা করেছিলেন বোয়েলি। সেবার ২.২ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব দিয়েছিলেন আব্রাহিমোভিচকে।