গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ কোভিড সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে চীনে। শনিবার দেশটিতে ১৪০ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৮৭ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। গতকাল এ সংখ্যা ছিল ৫৫। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দেশটির কর্মকর্তারা। একাধিক অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড। যেভাবেই হোক এর বিস্তার ঠেকাতে কড়াকড়ি চলছে সেসব অঞ্চলে। যেসব স্থানে লকডাউন জারি করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জিয়ানও।
গত ৯ ডিসেম্বর থেকে জিয়ানে কোভিড ছড়াচ্ছে। এখন পর্যন্ত শহরটিতে ৩৩০ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। অন্য দেশের তুলনায় এ সংখ্যা কম হলেও চীনের হিসাবে সংক্রমণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। কোভিডের প্রথম থেকেই দেশটি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। লকডাউনের কারণে জিয়ান থেকে বাইরে যাওয়া এবং শহরের মধ্যে চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে চীনে এখনো কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়নি।
লকডাউন চলাকালীন জিয়ান থেকে কাউকে বের হতে হলে তার অবশ্যই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে এবং তার ফলাফল নেগেটিভ হতে হবে। এছাড়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদনও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শহরটিতে চলাচল করা দূর পাল্লার বাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শহরের মধ্যে ট্যাক্সি ও গাড়ি ভাড়া করে চলাচলের সেবাগুলোও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া শহর থেকে বের হওয়ার রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জিয়ান থেকে আসা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শহরটির প্রধান সড়কগুলো একদম ফাঁকা। বৃহস্পতিবারের পর থেকে শহরটির প্রতি পরিবার থেকে যে কোনো একজন বাজার করতে বাইরে যেতে পারবে। বাতিল করা হয়েছে জিয়ানের সঙ্গে থাকা সব ফ্লাইট। এরইমধ্যে পুরো শহরে একাধিকবার গণ কোভিড পরীক্ষা চালিয়েছে চীন।
গার্ডিয়ানের খবরে জানানো হয়েছে, জিয়ান থেকে এখন পর্যন্ত ৫ শহরে কোভিড ছড়িয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে চীনের রাজধানী বেইজিংও। চীন এখন সংক্রমণ থামানোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই বেইজিং-এ অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।