ছেলেবেলায় ভাইবোন কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে অনেকেই হরহামেশা বালিশযুদ্ধ করেছেন। ঘরোয়া এই ‘খেলা’ এবার দোরগোড়া ছেড়ে পেশাদারিত্বের বলয়ে প্রবেশ করল। আর এই যুদ্ধে ছোটরা নয়, অংশ নিয়েছেন বড়রা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আয়োজন করা হয় বালিশযুদ্ধের টুর্নামেন্ট। বালিশযুদ্ধের এই চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো বিজয়ী বেছে নেওয়ার মাধ্যমে শিশুদের এই খেলায় পেয়েছে পেশাদারিত্বের তকমা।
বালিশযুদ্ধের এই চ্যাম্পিয়নশিপে ১৬ জন পুরুষ এবং আটজন নারী অংশ নেন। তাদের অনেকেই মিশ্র মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। একটি রিংয়ের ভিতরে ঘুষি এবং লাথির পরিবর্তে তাদের প্রতিপক্ষের উপর এলোমেলোভাবে বালিশ চালাতে দেখা যায়। বলা বাহুল্য এই যুদ্ধে কারোই আঘাত লাগেনি। শুনতে অবাক লাগলেও এই খেলার নিয়ম এরকমই।
ব্রাজিলের ইস্তেলা নুনেস আমেরিকান কেন্ডাহল ভোয়েলকারকে হারিয়ে নারীদের মধ্য থেকে শিরোপা জিতেছেন। পুরুষদের বিভাগে যুক্তরাষ্ট্রের হাউলি টিলম্যান দেশটির মার্কাস ব্রিমেজকে পরাজিত করে ছিনিয়ে নিয়েছেন শিরোপা।
শুধু তাই নয়, পিএফসি বা পিলো ফাইট চ্যাম্পিয়নশিপের পেছনে রয়েছে স্টিভ উইলিয়ামস নামে এক ব্যক্তি। শৈশব-কৈশোরের এই প্রিয় খেলাকে পেশাদার খেলার মর্যাদা দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন স্টিভ উইলিয়ামস। উইলিয়ামসের ভাবনায় শুরু হওয়া এই চ্যাম্পিয়নশিপে বালিশ যুদ্ধের কেরামতির সঙ্গে মেশানো হয়েছে বিভিন্ন মার্শাল আর্টসের কৌশল।
এর আগে পিএফসির প্রধান উইলিয়ামস বলেছিলেন, এই প্রতিযোগিতা কিন্তু তেমন নয় যে আপনি হাসতে হাসতে বালিশের লড়াইয়ে নামবেন আর চারদিকে পাখির পালক উড়বে। এটা খুবই সিরিয়াস একটা খেলা। বিশেষ কায়দায় তৈরি করা বালিশ নিয়ে লড়ার বিশেষ কৌশলের লড়াই।
এ ব্যাপারে পিএসসির ওয়েবসাইটে উইলিয়ামস বলেন, অনেক খেলোয়াড় আঘাত পেতে পছন্দ করেন না। অনেক দর্শক আছেন যারা রক্ত দেখতে চান না। তারা চান একটি সংঘাত ছাড়াই মনোরম একটি প্রতিযোগিতা।