গত এক মাসে চীনে হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। আতঙ্কে কার্যত গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে চীনের ইউহান প্রদেশের বাসিন্দাদের। অন্যান্য দেশেও তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এই ভাইরাস সারা বিশ্বে এখন ছড়িয়ে পরেছে। তবে এতটাই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যে তা কল্পনারও বাইরে। তবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা ঘরে বসেই পরীক্ষা করা যাবে- এ সংক্রান্ত একটি পরামর্শমূলক স্ট্যাটাস সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মারণ এই ভাইরাস সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক, রাজনীতিবিদসহ অনেককেই স্ট্যাটাসটি ফেসবুকে শেয়ার দিচ্ছেন। করোনা থেকে বাঁচতে পরামর্শমূলক ওই স্ট্যাটাসটি শেয়ার দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর ওয়ালেও স্ট্যাটাসটি শেয়ার দেয়া হয়েছে।
করোনা সম্পর্কিত স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-
‘জেনে-বুঝে একটি কথা বলি।
করোনা থেকে মুক্তি পেতে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোবেন, ৩০ সেকেন্ড ধোবেন, হাত মুখে ছোঁয়ানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন, কাশি এলে বাহুতে মুখ ঢাকুন। নিচে আরও কিছু তথ্য আছে। সত্যি কিনা জানি না। তবে এগুলো করলে কোনো সমস্যা অন্তত হবে না।
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) নিজেই পরীক্ষা করুন।
সাধারণত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জ্বর বা কাশি নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তার ফুসফুসের ৫০ শতাংশ ফাইব্রোসিস (সূক্ষ্ম অংশসমূহের বৃদ্ধি) তৈরি হয়ে যায়, যার মানে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
তাইওয়ানের বিশেষজ্ঞরা কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কিনা, সেটি নিজে নিজেই পরীক্ষা করার একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যেটি কেউ প্রতিদিন সকালে উঠেই কয়েক সেকেন্ডে একবার পরীক্ষা করে নিশ্চিন্ত হতে পারেন। পরীক্ষাটি হলো-
পরিচ্ছন্ন পরিবেশে লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে সেটিকে ১০ সেকেন্ডের কিছুটা বেশি সময় ধরে আটকে রাখুন। যদি এই দম ধরে রাখার সময়ে আপনার কোনো কাশি না আসে, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব না হয়, মানে কোনো প্রকার অস্বস্তি না লাগে, তার মানে আপনার ফুসফুসে কোনো ফাইব্রোসিস তৈরি হয়নি অর্থাৎ কোনো ইনফেকশন হয়নি, আপনি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত আছেন।
জাপানের ডাক্তাররা আরেকটি অত্যন্ত ভালো উপদেশ দিয়েছেন যে, সবাই চেষ্টা করবেন যেন আপনার গলা ও মুখের ভেতরটা কখনও শুকনো না হয়ে যায়, ভেজা ভেজা থাকে। তাই প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর একচুমুক হলেও পানি পান করুন।
কারণ কোনোভাবে ভাইরাসটি আপনার মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করলেও সেটি পানির সঙ্গে পাকস্থলীতে চলে যাবে, আর পাকস্থলীর অ্যাসিড মুহূর্তেই সেই ভাইরাসকে মেরে ফেলবে।’