লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামে ঘরে ঢুকে প্রবাসী নবী উল্যার স্ত্রী-মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মরিয়ম বেগম ও তার মেয়ে সাদিয়া আক্তার। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এলোপাতাড়ি কোপানোয় মরিয়মের ডান হাতের কবজি, বাম হাতের চারটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রক্তাক্ত জখম হয়েছে মাথায়। ধারাল অস্ত্রের কোপে মাথা ও ঘাড়ে রক্তাক্ত জখম হয়েছে সাদিয়ার। ঘটনার পর স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মরিয়ম ও সাদিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠিয়েছেন।
খবর পেয়ে রাতেই লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কি কারণে, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বালাইশপুর গ্রামের দেওয়ান বাড়ির বাসিন্দা নবী উল্যা সৌদি প্রবাসী। তার স্ত্রী মরিয়ম মেয়ে সাদিয়াকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। সাদিয়া স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। রাতে সন্ত্রাসীরা তাদের ঘরে ঢুকে এলাপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় মা-মেয়ের চিৎকারে স্বজনসহ স্থানীয়রা দৌঁড়ে আসেন। এ সুযোগে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে মা-মেয়েকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন উদ্ধারকারীরা।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘রক্তাক্ত অবস্থায় মা-মেয়েকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের অঙ্গহানীসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কে বা কারা, কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’